Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
রাজনীতিরাজ্য

ফের পুলিশি জেরার মুখে মিঠুন, নিজেকে ‘জাত গোখরো’ বলার খেসারত গুনছেন মহাগুরু

Mithun Chakraborty : ফের পুলিশি জেরার মুখে মিঠুন, নিজেকে ‘জাত গোখরো’ বলার খেসারত গুনছেন মহাগুরু - West Bengal News 24

একুশের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। প্রচারের সময় নিজের ছবিরই সংলাপ বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। আর ভোট শেষ হওয়ার পর তা নিয়ে আপত্তি জানায় তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরও করা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ ফের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছে তিনি। বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে মিঠুনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। মৃত্যুঞ্জয় পাল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর সেই এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে ৪ জুন মামলা করেন মিঠুন। ১১ জুন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।

শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান, মিঠুন কী ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন? তখন অভিনেতার আইনজীবী বলেন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’। এরপর বিচারপতি বলেন, “এটা বলেছেন বলেই কি, ভোট-পরবর্তী অশান্তি?” তবে সরকারি আইনজীবী বলেন, “এটা ছাড়াও কিছু বিষয় রয়েছে।” তা শোনার পরই মিঠুনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহাগুরুকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই অনুযায়ী আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। বিজেপির প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচার করেছিলেন তিনি। আর প্রচারের সময় মঞ্চ থেকে নিজের ছবির একাধিক সংলাপ বলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ‘আমি জলঢোঁড়া নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।’, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’ – এইসব জনপ্রিয় সংলাপের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের অভিযোগ, এই ধরনের মন্তব্য করে আসলে হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন মিঠুন।

যদিও হাইকোর্টে আবেদনপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের সিনেমার সংলাপ বলেছেন তিনি। এর পিছনে আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু, তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। এর আগে ১৬ জুন হাইকোর্টের নির্দেশে মিঠুনকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মানিকতলা থানার পুলিশ। এরপর আজ ফের তাঁকে জিজ্ঞালাবাদ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে টুইটারে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি লেখেন, “মিঠুন চক্রবর্তী সব সময় মিঠুন চক্রবর্তী আছেন ও থাকবেন। উনি রাজনৈতিকভাবে যে দলেরই হয়েই প্রচার করুন না কেন তিনি আমাদের সকলের গর্ব | আর মঞ্চে আমি মিঠুনদার পাশেই ছিলাম যখন ‘মানুষের ডিমান্ড ও অনুরোধে’ উনি ওনার ছবির বিখ্যাত ডায়ালগ-গুলি বলেছেন। ব্যাস এইটুকুনিই !!” তিনি আরও লেখেন, “প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কেন বাংলার শিল্পীর পথ নামছেন না প্রতিবাদ করতে? যাঁরা মিঠুনদার সাথে একটা ছবি করতে ছটফট করতেন, মিঠুনদা কলকাতায় এলে ওঁর হোটেলের ঘরের বাইরে ঘন্টা পর ঘন্টা বেশ থাকতে, তারা আজ চুপ কেন? কিসের ভয়??”

সূত্র : এশিয়া নেট

আরও পড়ুন ::

Back to top button