রাজনীতিরাজ্য

“স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করেছেন”, রাজ্যপালের নিশানায় স্পিকার

“স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করেছেন”, রাজ্যপালের নিশানায় স্পিকার - West Bengal News 24

“রাজ্যপাল পদের অবমাননা করেছেন”, বিমানকে সরাসরি চিঠি লিখে তোপ ধনখড়ের। রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের তেঁতো সম্পর্ক অব্যাহত। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার সরকার গঠন করার পর থেকেই সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে। রাজ্যে ভোট কেন্দ্রিক হিংসা নিয়ে বারবার রাজ্যকে আক্রমন শানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের নেতারাও পাল্টা আক্রমন করেছেন রাজ্যপালকে।

খোদ মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে তিন দশক পুরনো হাওয়ালা মামলা টেনে ধনখড়কে দুর্নীতি গ্রস্ত বলে আখ্যা দেন। ধনখড় অবশ্য তাকে মিথ্যা বলে আখ্যা দেন। এদিকে রাজ্যপাল বিরোধিতায় আসরে নেমেছেন খোদ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই সব বিধানসভা স্পিকারদের সঙ্গে লোকসভার স্পিকারের বৈঠকে ওম বিড়লাকে তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের ও ক্ষমতার বাইরে কাজ করার অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয় এই নিয়ে সাংসদদের চিঠিও দেন তিনি।

আর এবার সেই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে বিমানবাবুকে চিঠি লিখলেন জগদীপ ধনখড়। চিঠিতে বিমানবাবুকে তিনি বলেন “স্পিকার নিজেই রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করেছেন। বিধানসভায় আমার ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে, যা জরুরি অবস্থার শামিল।”

এখানেই না থেমে তাঁর সংযোজন “লোকসভার সাংসদকে দেওয়া আপনার চিঠি আমাকে ব্যথিত করেছে। এর থেকে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আপনার এই অভিযোগ সংবিধানের পরিপন্থী। বরং বার বার আপনার কাজে রাজ্যপাল পদটির অবমাননা করা হয়েছে। আমি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

এমনকি আপনি নিজেও উপস্থিত থাকেননি। আমাকে অপমান করা হয়েছে। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে রাজ্যপালের ভাষণ দেখানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই অবস্থা জরুরি অবস্থার শামিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেখানো হয়েছে। আপনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, রাজভবনে পাঠানো একাধিক বিল ফেরত পাঠানো হয়নি। এই অভিযোগও খুব দুঃখজনক। কারণ রাজ্যপাল কোনও কাজ ফেলে রাখেননি।”

“রাজ্যপাল পদের অবমাননা করেছেন”, বিমানকে সরাসরি চিঠি লিখে তোপ ধনখড়ের। চিঠিতে তিনি ‘ডানলপ ইন্ডিয়া’ ও ‘গণপিটুনি রোধক বিল’ নামক দুটি বিলের কথাও উল্লেখ করেন। এই চিঠির পর দুই পক্ষের সম্পর্ক আরও তিক্ততার দিকে যাবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন ::

Back to top button