বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন মুকুল রায়। তাই বিধানসভায় বসছেন বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই। আর মুকুল রায় বিধানসভায় ঢুকতেই এগিয়ে এলেন ২ বিজেপি বিধায়ক। মুকুল রায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা এবং জোয়েল মুর্মু।
হাসিমুখে মুকুল রায়কে কথা বলতেও দেখা যায় ওই ২ বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে। আর ঘটনা থেকেই বাড়ছে জল্পনা। তাহলে এই ২ বিজেপি বিধায়কও মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেবেন। আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিধানসভার অন্দরে। এমনিতেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও মুকুল অনুগামীর সংখ্যাও প্রচুর।
মুকুল দার ডাকে সাড়া দিতে তৈরিও গেরুয়া শিবিরের অনেক বিধায়ক, সাংসদ। বিজেপির অন্দরে বিরোধী দলনেতা হিসাবে মনোজ টিগ্গার নামও উঠেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর নামেই সিলমোহর দেয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই মনোজ টিগ্গার ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৬ বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা যখন ৩ ছিল।
সেইসময় থেকেই বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এহেন মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে দলবদলের জল্পনা। যদিও বিজেপি বিধায়করা মুকুল রায়কে প্রণাম করার ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি নিছক সৌজন্যতার খাতিরেই এই কাজ করেছেন বিজেপির বিধায়করা।
বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনই বিধানসভায় দেখা গেল হইহট্টগোল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। রাজ্যপালও ৪-৫ মিনিটের ভাষণ দিয়ে বেরিয়ে যান। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী। এই ২ বিজেপি বিধায়কই আগে দীর্ঘ সময় ধরে তৃণমূলের বিধায়ক হিসাবে বিধানসভায় সক্রিয় থাকতেন।
সূত্র: আজকাল