বিদ্যুৎ বিল বকেয়া সাড়ে ৮ লক্ষ টাকারও বেশি! বিপাকে নভজ্যোৎ সিং সিধু
বড়সড় বিড়ম্বনার মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। ৮ মাসের বকেয়া প্রায় ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল মেটায়নি রাজ্যের এই কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি ট্যুইটারে পাঞ্জাবের বিদ্যুৎ সঙ্কটের বিহিত চেয়ে ট্যুইট করেন সিধু। তারপরেই তাঁর বকেয়া বিলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। পাঞ্জাব বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের সরকারি ওয়েবসাইটে সেই বিলের প্রতিলিপি উজ্জ্বল। জানা গিয়েছে, অমৃতসরের বাড়ির এই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল। যার অঙ্ক ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৪০ টাকা। ২ জুলাই বকেয়া মেটানোর শেষ দিন ছিল।
যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সিধুর। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কোনও আধিকারিক এই বিষয়ে মুখ খোলেনি। বিল বকেয়া কাণ্ডে সিধু ইচ্ছাকৃত খেলাপি না তাঁকে আগে কোনও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও স্পষ্ট নয় বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অবস্থান।
এদিকে, সম্প্রতি পাঞ্জাব কংগ্রেসে ক্রমাগত বেসুরো হতে থাকা সিধুর সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দুই নেতাই সোশাল মাধ্যমে সেই সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করেন। বছর ঘুরলেই সেই রাজ্যে বিধান্সভা ভোট। তার আগে সিধুর ‘বিদ্রোহ’, খানিকটা চাপে রেখেছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
অপরদিকে, সিধুর বিদ্রোহের মধ্যেই বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ক্যাপ্টেনের চিন্তা বাড়িয়ে ২৭ বছর পর ফের মায়াবতীর হাত ধরল শিরোমণি অকালি দল। ১৯৯৬ সালে লোকসভা নির্বাচনে শেষবার জোট বেঁধে লড়েছিল অকালিরা এবং বহুজন সমাজ পার্টি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ফের জোট বেঁধে লড়বে দুই দল।
শনিবার এই এই জোটের কথা ঘোষণা করেছেন অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল। গত বছরই বিজেপির সঙ্গত্যাগ করেছে দীর্ঘদিনের এনডিএ শরিক। এবার বিজেপির অন্যতম বিরোধী বিএসপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে লড়বে অকালিরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে যতগুলো আসন ছেড়েছিল, মায়াবতীর দলকেও ততগুলি আসন এবার ছাড়বে অকালি দল।
দলিত অধ্যুষিত দোয়াবা অঞ্চলে ৮টি আসন, মালওয়ায় ৭টি এবং মাঝা অঞ্চলে ৫টি, মোট ২০টি আসনে লড়বে বিএসপি। বাকি ৯৭টি আসনে লড়বে অকালি দল। এর আগে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১১১টি আসনে লড়ে একটিতেও জিততে পারেননি মায়াবতী। এবারের ফ্রন্ট নিয়ে আশাবাদী দুই দলই। বিকাশের পথে নয়া পাঞ্জাব গড়ার ডাক দিয়েছে দুই দল। এই জোটকে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া মোড় বলেছেন সুখবীর সিং বাদল।
এর আগে অকালি দলের প্রকাশ সিং বাদল এবং বিএসপির প্রতিষ্ঠাতা কাশী রাম একজোট হয়েছিলেন পাঞ্জাবে। ১৯৯৬ সালে দুই দল ১৩টির মধ্যে ১১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়। সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে ফের ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন মায়াবতী ও সুখবীর বাদল। তাঁদের প্রধান লক্ষ্য, জিতে ক্ষমতায় এসে রাজ্যের অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া।
সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস