নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার রদবদলকে কেন্দ্র করে বঙ্গবিজেপিতে যেন আলোড়ন চলছে৷ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সৌমিত্র খাঁ, বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরিরা। সেই জায়গায় শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লাদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে। এদিকে বাকিদের মতো ইস্তফা দিলেও পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
টুইটে স্পষ্টই লিখেছেন, তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এহেন টুইটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হতেই দিলীপ ঘোষের দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না৷ এদিকে বাবুলকে বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল এনিয়ে চুপ থাকলেও বৃহস্পতিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষে বিঁধলেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)৷
বাবুল সুপ্রিয় আমার স্নেহভাজন, তার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার ফলে আমি দুঃখ পেয়েছি। তবে রাজনীতিতে এরকম হয়ে থাকে।
তবে আমার আসল বক্তব্য সেটা নয়। বাংলায় প্রবাদ আছে, “মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি”। এবার সেটা বদলে হবে, “পিসির দরদ বেশি”। 🤣🤣🤣— Tathagata Roy (@tathagata2) July 8, 2021
মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল লিখেছেন, “বাবুল সুপ্রিয় আমার স্নেহভাজন, তার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার ফলে আমি দুঃখ পেয়েছি। তবে রাজনীতিতে এরকম হয়ে থাকে। তবে আমার আসল বক্তব্য সেটা নয়। বাংলায় প্রবাদ আছে, “মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি”। এবার সেটা বদলে হবে, “পিসির দরদ বেশি”।” তবে “ঝি কে মেরে বউ”কে শোনানোর মতে মমতাকে বিঁধে বাবুলকেই পরোক্ষভাবে বার্তা দিতে চাইলেন কী না সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের আলোচ্য।
ডাঃ সুভাষ সরকার একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বয়ংসেবক, পেশাগতভাবে বাঁকুড়ার একজন প্রতিষ্ঠিত স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ। সুমিষ্ট, ভদ্র, নম্র আচরণের জন্য খ্যাত। তাঁকে মন্ত্রীপদ দিয়ে তাঁর ও দলের প্রতি সুবিচারই করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 8, 2021
গতকাল শান্তনু ঠাকুর আমাকে ফোন করে আমার আশীর্বাদ চাইল। প্রাণঢালা আশীর্বাদ তো অবশ্যই, কিন্তু ওকে বললাম, আজ তোমার প্রাতঃস্মরণীয় পূর্বপুরুষেরা – হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ, প্রমথরঞ্জন, সবাই তোমায় স্বর্গ থেকে আশীর্বাদ করছেন। বুক ফুলিয়ে এগিয়ে যাও, ভবিষ্যৎ তোমারই।
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 8, 2021
বেশ কিছুদিন ধরেই নিয়ম করে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে আসছেন তথাগত রায়৷ বঙ্গবাসী সাধারণত এই ভূমিকায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখতেই অভ্যস্ত৷ সেখানে তথাগতবাবুর এই উপযাচক হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার ভূমিকায় অন্য রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ স্পষ্ট৷
তিনি রাজ্যনেতাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখলেও যেনতেন প্রকারেণ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গুণকীর্তন করতে সদাই ব্যস্ত৷ যেমন মন্ত্রিসভার রদবদলে নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণতার প্রশংসা করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি এই প্রবীণ আরএসএস নেতা। যেমন সুভাষ সরকারের কথাই ধরা যাক৷
তথাগত রায় লেখেন, “ডাঃ সুভাষ সরকার একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বয়ংসেবক, পেশাগতভাবে বাঁকুড়ার একজন প্রতিষ্ঠিত স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ। সুমিষ্ট, ভদ্র, নম্র আচরণের জন্য খ্যাত। তাঁকে মন্ত্রীপদ দিয়ে তাঁর ও দলের প্রতি সুবিচারই করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।”
সুত্র : লেটেস্ট লি