রাজ্যের ৪ সাংসদকে কেন্দ্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী করে বাংলাকে যে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তা কিন্তু এক প্রকার স্পষ্ট। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও মেনে নিলেন মতুয়া ফ্যাক্টরেই মন্ত্রী হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। শুধু তাই নয়, মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি মতো রাজ্যে সিএএ অবিলম্বে চালু করতে চায় কেন্দ্র। শুক্রবার দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই রাজ্যে সিএএ লাগু হবে।’
বন্দর, পরিবহন ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। পাশাপাশি তিনি অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতিও। ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ভোট নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দু’বছর কেটে গেলেও সিএএ লাগু না করায় গত বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিক্ষোভে নামে মতুয়াদের একাংশ।
সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভায় খারাপ ফলের পরেই এবার মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ দেওয়া হল কার্যত বিজেপির তরফে। ইতিমধ্যেই গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে, আসন্ন নির্বাচনগুলির কথা মাথায় রেখে মতুয়া ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাতেই এই সিদ্ধান্ত। এদিন সেকথা একপ্রকার মেনে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের কথায়, মতুয়াদের মন পেতেই শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে ক্ষতি কী? মতুয়ারা আমাদের বিশ্বাস করেছে। আমরা তাদের যোগ্য সম্মান দেব। তাদের আমরা নাগরিকত্ব দেব।’ কিন্তু এভাবে আর কতদিন? আর কবে মিলবে মতুয়াদের নাগরিকত্ব।
দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাইলে সিএএ এখনই লাগু হয়ে যাবে। তা না হলে আমরা এই করোনা পরিস্থিতি, লকডাউনটা কাটার অপেক্ষা করব। তারপরেই সিএএ জারি হয়ে যাবে।’ অর্থাত্ মুখ্যমন্ত্রী না চাইলেও রাজ্যে সিএএ লাগু হয়ে যাবে, অনেকটা এমন দাবিই করলেন তিনি।
যদিও এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান তিনি আগেই জানিয়েছেন। রাজ্যে বসবাসকারী ব্যক্তির ভোটার কার্ড, আধার কার্ড যদি থাকে তাহলে প্রত্যেকেই নাগরিক। তাদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রলোভনে আসলে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।’ সিএএ অনুযায়ী, নাগরিকত্বের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারলে, তাকে অনুপ্রবেশকারী বলেই গণ্য করা হবে প্রথমে। আর এখানেই আপত্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সূত্র : এই মুহুর্তে