Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জানা-অজানা

ঘন ঘন হাই ওঠার কারণ ও প্রতিকার

ঘন ঘন হাই ওঠার কারণ ও প্রতিকার - West Bengal News 24

ঘুম আসার আগে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার পর হাই তোলা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সারারাত ঘুমানোর পরও সারাক্ষণ বার বার হাই ওঠা খুবই বিরক্তিকর। বিশেষ করে সকালে অফিসে অথবা ক্লাসে গিয়ে না চাইতেই যেন হাই উঠতে থাকে। কিছুতেই যেন এর হাত থেকে রেহাই মেলে না। মাঝেমধ্যে এই হাই তোলার জন্য আপনাকে যথেষ্ট কথা শুনতে হয়। আবার খুব বিরক্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়।

তবে চিন্তার কিছু নেই। এর থেকে মুক্তিরও রয়েছে দারুণ কৌশল। যখনই এই অবাঞ্ছিত হাই আপনাকে উত্ত্যক্ত করবে তখন মেনে চলুন কতগুলো টিপস-

হাঁটুন
একভাবে বসে কাজ করার ফলে ক্লান্তি আসতে পারে। যার জেরে হাই ওঠে। তাই একইভাবে অনেক্ষণ কাজ না করে কাজের ফাঁকে কিছুটা হেঁটে নিন। দেখবেন এতে ক্লান্তি লাগবে না। বরং কাজে স্পৃহা আসবে।

নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন
অনেক সময় শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই ওঠে। তার জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে হাই ওঠা কমে যাবে। এইভাবে আপনার শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। যখন নিঃশ্বাস নেবেন তখন জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিন।

ঠাণ্ডা পানীয় খান
যখনই হাই উঠবে তখন ঠাণ্ডা জল অথবা কোল্ড ড্রিংস খান। সোডা এবং কার্বোনেটেড পানীয় হাই বন্ধ করতে সক্ষম। যখন অফিস কিংবা ক্লাসে আসবেন তখন বোতলে করে ঠাণ্ডা জল নিয়ে যাবেন।

ঠাণ্ডা খাবার
ঠাণ্ডা খাবারও খুবই কার্যকরী। যেমন ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার, ফল ইত্যাদি। এছাড়া আইসক্রিমও খেতেই পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খুব ভালো। এটা আপনার শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তিকে দূর করতে সক্ষম হয়।

কর্মসূচী এক রাখুন
একটি কর্মসূচী বানিয়ে নিতে পারেন। যার মাধ্যমে রোজ এক সময় খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবেন। তাহলে দেখবেন এই কর্মসূচীকে আপনার শরীর মানিয়ে নেবে তখন আর কোনো ক্লান্তি, হাই কোনো কিছুই ছুঁতে পারবে না আপনাকে। এছাড়া ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তাতে শরীর ঠিক থাকবে।

যোগা
শুধু হাই তোলা বন্ধ করলেই তো আর হবে না! তার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগা করা খুবই প্রয়োজন। আমাদের শরীরের বাড়তি টক্সিন এবং অতিরিক্ত ফ্যাট ক্লান্তির প্রধান কারণ। এর জন্য অন্ততপক্ষে দিনে ২০ মিনিট যোগা করা আবশ্যক। তাছাড়া হেলদি খাবার যেমন- সবুজ শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি খান। ক্লান্তিকে আপনার সাথী হতে না দিলেই আর অবাঞ্ছিত হাইয়ের সমস্যাতেও ভুগতে হবে না আপনাকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button