জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে। লোকসভার দলনেতার পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। অধীরের বিকল্প হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। লোকসভায় অধীরের ডেপুটি গৌরব গগৈ, রভনীত সিং বিট্টু, উত্তমকুমার রেড্ডি ছাড়াও দলের অন্দরে বিক্ষুব্ধ হিসেবে পরিচিত ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন লোকসভায় দলনেতার দৌড়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, লোকসভায় দলনেতা অধীর চৌধুরীর ভূমিকায় খুশি নন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের মতে, লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে খুব একটা আগ্রাসী নন বহরমপুরের সাংসদ। কৃষি বিল সহ একাধিক জনবিরোধী ইস্যুতে বিরোধীদের এককাট্টা করে সরকারের উপরে চাপও বাড়াতে পারেননি তিনি।
বিশেষ করে ‘ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণতার’ উপরে উঠে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলার কোনও চেষ্টাই করেননি। বরং কেন্দ্রের বিজেপি সম্পর্কে অনেকটাই নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের সময়ে সাময়িকভাবে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতার পদ থেকে সরানো হয়েছিল অধীর চৌধুরীকে। তাঁর পরিবর্তে সংসদের অধিবেশনে দলীয় সাংসদদের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পঞ্জাবের তরুণ সাংসদ রভনীত সিং বিট্টুর কাঁধেই সঁপেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদে ফিরেছিলেন অধীর।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই বহরমপুরের সাংসদকে সংসদের নিম্ন কক্ষের দলনেতার পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে চর্চা চলছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নতুন করে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করতেই অধীরকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনিয়া গান্ধি। কংগ্রেসের একাংশ ও গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠরা চেয়েছিলেন, অধীরের পরিবর্তে রাহুল গান্ধির কাঁধেই সঁপে দেওয়া হোক লোকসভায় দলনেতার দায়িত্ব।
সূত্রের খবর, সেই দায়িত্ব নিতে রাজি হননি সোনিয়া তনয়। ফলে অধীরের বিকল্প নেতা খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। যদিও তাঁকে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
সূত্র : এই মুহুর্তে