টিকার মিশ্র ডোজ মানে ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসের টিকার মিশ্র ডোজ তথা বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত টিকা অদলবদল করে নেওয়াকে ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল সোমবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন এমন মন্তব্য করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘এটা কিছুটা বিপজ্জনক প্রবণতা। টিকার মিশ্র ডোজ নিয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই।’
সর্বশেষ চীনের সিনোভ্যাকের পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়ার পরেও কয়েকশ’ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর টিকা নীতিতে পরিবর্তন এনে মিশ্র ডোজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, কেউ প্রথম ডোজ হিসেবে সিনোভ্যাকের টিকা নিয়ে থাকলে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হবে।
আর সিনোভ্যাকের দুই ডোজ টিকা নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের বুস্টার ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাই সরকার। তবে মিশ্র ডোজ নিয়ে সতর্ক করে সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, নাগরিকেরা যদি টিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে কোন টিকা কখন নেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে দেশে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবরাহ না করায় বাংলাদেশও টিকার মিশ্র ডোজ দেওয়া নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। এমন সময় এই সতর্কবার্তা আসলো বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে।