দিল্লিতে টিকার ব্যাপক ঘাটতি, বন্ধ সরকারি টিকাকেন্দ্র
করোনার তৃতীয় তরঙ্গ রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। অথচ দেশের রাজধানীতে দেখা গেল এক সঙ্কটময় চিত্র। দিল্লিতে ফুরিয়ে গিয়েছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড। সোমবার একটি টুইট করে ঘোষণা করেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। যথেষ্ট পরিমাণ টিকার জোগান না থাকায় সোমবারে টিকাকরণের হারে বড়সড় পতন ঘটেছে। এই চিত্রকে সামনে রেখেই তিনি ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার দিল্লির অধিকাংশ সরকারি টিকা কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
প্রত্যকটি সরকারি টিকাকেন্দ্রে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার পরেই মণীশ সিসৌদিয়া টুইট করে লেখেন, ‘ফের রাজধানীতে টিকার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে যে টিকা পাঠানো হয়েছিল, তাতে বড়জোর দুই থেকে একদিন চলবে। তারপর আবার বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে। টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার এতদিন পরেও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে!’
২১ জুন দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ঘোষণা করার কয়েকদিন পর্যন্ত দিল্লিতে টিকা দেওয়ার ষষ্ঠ বন্ধ ছিল। সেবারও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তৃতীয় তরঙ্গের আগে ভ্যাকসিনের ঘাটতিতে তাই আবারও সরব রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এক সপ্তাহ ধরেই টিকাকরণের হারে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। কয়েক ধাপ কমেছে টিকাকরণের হার। তথ্য অনুসারে, ২১ জুন থেকে ২৭ পর্যন্ত দেশে গড়ে টিকা পেয়েছেন ৬১ লক্ষ মানুষ। তার পরের সপ্তাহে ৪১ লক্ষ। গত সপ্তাহের টিকাকরণ হয়েছে ৩৪ লক্ষ নাগরিকের। জুনের তুলনায় জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত টিকাকরণের হারে পতন ঘটায় মোদি সরকারের পরিকল্পনার ঘাটতি এবং ভ্যাকসিন নির্মাতাদের দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্য।
সূত্র : আজকাল