জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, কৃষ্ণ কল্যাণী, নিখিলরঞ্জন দে, বিষ্ণুপদ শর্মা, দীপক বর্মণ, অশোক কীর্তনিয়া ও আনন্দময় বর্মণ বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
ঘটনায় প্রকাশ, এ সবের মূলে এক জনই- মুকুল রায়। আর একটি বিষয়, তা হল বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্য়ানপদ। বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। তারমধ্যে অ্যাসেম্বলি কমিটি ১৫টি। আর স্ট্যান্ডিং কমিটির সংখ্যা ২৬। কিন্তু বিধানসভার সব থেকে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি এই পিএসি।
সেই পদেই কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপির প্রতীকে জেতা মুকুলকে মনোনীত করেছেন বিধানসভার স্পিকার। খাতায়-কলমে বিজেপির বিধায়ক হলেও মুকুল ফিরেছেন তৃণমূলে। শাসক দল এ ভাবে নিজেদের ইচ্ছে মতো ব্যক্তিকে পিএসি চেয়ারম্যান করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে বিজেপি। তারাও নাম পাঠিয়েছিল, কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
তবে শাসক দলের সাফাই, বিরোধী বিধায়ক হিসেবেই মুকুলকে পিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬-র পর মানস ভুঁইয়া বা শঙ্কর সিংয়ের ক্ষেত্রে একই ধরনের নজির রয়েছে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর এই দুই বিধায়কই পিএসি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কারণ বিধানসভার নথিতে তাঁরা দু’জনেই ছিলেন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়ক।
বিজেপি সূত্রে খবর, মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত। এর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবন যান বিজেপি বিধায়করা।
সূত্র : খবর অনলাইন