তবে কী কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর? রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বৈঠকের পর তুঙ্গে জল্পনা
মাস দুই আগে পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণা হতেই ইঙ্গিতটা তিনি দিয়ে রেখেছিলেন। আর যাই হোক, এই পেশায় নয়। অন্য কিছু করবেন। তখন থেকেই প্রশ্নটা ঘুরছিল, তবে কি নিজেই এবার লড়বেন ভোটে? মঙ্গলবার গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সেই জল্পনায় ঘি পড়ল আরও। খবর, সব ঠিকঠাক চললে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর।
গত কাল রাহুল গান্ধীর বাড়িতে বৈঠকে বসেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এমনকী সোনিয়াও। ভাবা হয়েছিল, আগামী বছর পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের জট কাটাতেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পিকে। কারণ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের সঙ্গে কংগ্রেসর বিধায়ক সিধুর তরজা প্রকাশ্যে। এ রকম চললে আগামী বছর চাপে পড়বে কংগ্রেস।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শোনা যাচ্ছে, পাঞ্জাব বা উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন নয়। বরং অনেক বড় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ৪ জন। আলোচনার কেন্দ্রে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। খবর, সেই লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেসকে প্রস্তুত করার ভার প্রশান্তের কাঁধে পড়তে পারে। বদলে তিনি কংগ্রেসে বড় কোনও পদ পেতে পারেন।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল এবং তামিলনাড়ুতে ডিএমকে জিতে ক্ষমতায় এসেছে। এই দুই দলের ভোট কৌশল সাজিয়েছেন পিকে এবং তাঁর সংস্থা। জয়ের পর একটি সংবাদ মাধ্যমকে পিকে বলেন, ‘আমি যা করছি, তা আর করতে চাই না। অনেক করে ফেলেছি। এখন একটা ব্রেক নিতে চাই। জীবনে অন্য কিছু করতে চাই। এই কাজের জায়গাটা ছাড়তে চাই।’
তার পর থেকেই তাঁর রাজনীতিতে পা রাখার জল্পনা উস্কে ওঠে। যদিও এর আগেই সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন পিকে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ-তে। নীতীশের সঙ্গে বিবাদের কারণে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
সূত্র : আজকাল