রাজনীতিরাজ্য

নন্দীগ্রাম মামলা অন্যত্র সরানো হোক, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন শুভেন্দু অধিকারীর

Suvendu Adhikari : নন্দীগ্রাম মামলা অন্যত্র সরানো হোক, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন শুভেন্দু অধিকারীর - West Bengal News 24

বিচারপতি কৌশিক চন্দের থেকে নন্দীগ্রাম (nandigram) মামলা বিচারপতি শম্পা সরকারের (shampa sarkar) এজলাসে সরানোর পরে এদিন প্রথম শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি শম্পা সরকার এদিন নির্বাচন কমিশনকে (election commission) নির্দেশ দিয়ে বলেন, ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণের জন্য। আর এদিনই জানা গেল শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) নন্দীগ্রাম মামলা রাজ্যের বাইরে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) আবেদন করেছেন।

এদিন শুনানি বিচারপতি শম্পা সরকার জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশন পিটিশন বৈধ। সেই মতো এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ জারি করা হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত ২ মে গণনায় বিকেলের দিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন। কিন্তু সেই সময় বিজেপির তরফে দাবি করা হয় তখনও গণনা শেষই হয়নি।

পরে সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশন জানায় শুভেন্দু অধিকারী ১৯৫৩ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছেন। এরপরেই তৃণমূলের তরফ থেকে ফের গণনার আর্জি জানানো হলেও, নির্বাচন কমিশন তা করতে অস্বীকার করে।

পাশাপাশি বিচারপতি নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া নির্দেশে বলেছেন. ইভিএম, নথি ভিডিও রেকর্ডিং-সহ যাবতীয় নন্দীগ্রাম সম্পর্কীয় নথি সংরক্ষণ করতে হবে। এব্যাপারে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ অগাস্ট।

এদিকে নন্দীগ্রামে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের তরফে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলাটি পাঠানো হয়। কিন্তু তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কৌশিক চন্দের পুরনো বিজেপি যোগের কারণে মামলা অন্য এজলাসে স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়। তবে গত বুধবার এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াল বিচারপতি চন্দ।

তিনি বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। পরে সেই মামলা বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে স্থানান্তরিত করা হয়।

এদিকে এই মামলার অন্য পক্ষ সুভেন্দু অধিকারীর তরফে মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্থানান্তরের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। তা সে যে কোনও রাজ্যের হাইকোর্টে পাঠানো যেতে পারে। এব্যাপারে চাপ দিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস বদলেরও উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই আবেদনে, এই রাজ্যে মামলার শুনানি হলে তাতে ভয়-ভীতি কাজ করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন ::

Back to top button