একুশের মঞ্চ থেকে পেগাসাস নিয়ে একপ্রস্থ ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফোন ট্যাপিংয়ের বিপদের ব্যপ্তি তুলে ধরতে চাইলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, ‘আজ মা-বোনেরা কোথায় কী কথা বলছে, স্বামী-স্ত্রী কী কথা বলছে তাও শুনে ফেলছে।’ অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী আসলে বোঝাতে চেয়েছেন, এটা শুধুমাত্র দু’চারজন নেতামন্ত্রী, সাংবাদিক বা ব্যবসায়ীর ব্যাপার নয়। এর বিপদ থেকে সাধারণ মানুষও রক্ষা পাবে না।
তা বোঝাতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর ফোনালাপও ট্যাপ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘ইজরায়েল থেকে ভারত সরকার এই ম্যালওয়ার কিনেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, তাঁর বাড়ির কাজের লোকেরও ফোনে আড়ি পেতেছে।’ একুশের মঞ্চ থেকেও বিচারপতিদের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মমতা। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেন এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে।
শুধু ফোনের কথোপকথন রেকর্ড নয়। ফোন রেখে যদি মুখোমুখিও কথা বলা হয় তাহলেও সমস্ত কথা পেগাসাস রেকর্ড করে নিতে পারে বলে দাবি করেছেন মমতা। এদিন সে ব্যাপারে একটি উদাহরণও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ভোটের আগে একদিন কালীঘাটের অফিসে তিনি, অভিষেক, পিকে (প্রশান্ত কিশোর) এবং সুব্রত বক্সি কথা বলছিলেন। ফোনগুলো এক জায়গায় রাখা ছিল। কিন্তু ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সব রেকর্ড করে নিয়েছে।
মমতা জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোর ফোনের অডিট করাতে গিয়ে সবটা জেনেছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদেরও সতর্ক করেছেন যে, তাঁরা যেন ফোনে সাবধানে কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ কথা ফোনে না বলারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসটাইম কোনও কিছুই সেফ নয়। সব আনসেফ।
সূত্র: দ্য ওয়াল