ডোমের চাকরি করতে আবেদন ইঞ্জিনিয়ার-সহ উচ্চশিক্ষিতদের, এনআরএসে দু’হাজারের বেশি আর্জি জমা
হাসপাতালে প্রয়োজন ডোমের। সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞাপন দিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদন এল প্রার্থীদের। কিন্তু আবেদনকারীদের যোগ্যতা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ কর্তৃপক্ষের। কেউ স্নাতক, কেই আবার স্নাতকোত্তর। দেশ তথা রাজ্যজুড়ে বাড়তে থাকা বেকারত্বের এক করুণ ছবি ধরা পড়ল কলকাতা শহরে।
এনআরএস হাসপাতালে ডোমের চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ডিসেম্বরে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য চাকরি ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। শূন্যপদ মোটে ৬ টি। কিন্তু এই ৬ টি শূন্যপদের জন্যই আবেদন পত্র এল প্রায় দু’হাজার। শুধু তাই নয়, প্রার্থীরা একেবারে ‘হাইলি কোয়ালিফায়েড’।
বিজ্ঞাপনে উল্লেখ ছিল, ডোমের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত এবং লাশঘরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন প্রার্থীরাই কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এনআরএস হাসপাতালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্তারা জানান, সে সবের তোয়াক্কা না করেই বিএ ও এমএ পাশ যুবকেরা আবেদন করেছেন কাজের জন্য।
কয়েক হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ৭৯৮ জনকে পরীক্ষার জন্য অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া। সেই তালিকায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি থাকা যুবকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। পরিস্থিতি এমন যে ডোম পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরির পরীক্ষায় বসার ডাক পাননি অনেকে।
প্রশ্ন উঠছে হঠাত্ এমন পরিস্থিতি কেন? উত্তর নেই কারোর কাছে। ধন্দে পড়ে খোদ এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের অনুমান, দেশ বা রাজ্য সব জায়গাতেই বেকারত্বের হার একই। পরিস্থিতি এমন মারাত্মক যে শিক্ষিত যুব সমাজ ঘর সংসার চালাতে ডোমের কাজ করতেও পিছপা হচ্ছেন না। বেকারত্বের এক করুন ছবি খাস কলকাতায়।
সূত্র: এই মুহুর্তে