পড়ুয়ারা কেন এত বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? বিভিন্ন স্কুলের কাছে প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের
উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে উচ্চমাধ্যমিকে ফলপ্রকাশের পর বিক্ষোভের খবর। আজই মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় পাশের দাবিতে অবরোধ করেছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল যান চলাচল। শুধু কি তাই! একাধিক স্কুলে চলছে ভাঙচুর। সেই ক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের প্রধান কার্যালয়েও।
এবার সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে হস্তক্ষেপ করল নবান্ন এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। শনিবার স্কুলগুলির জন্য একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। তাঁর সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। উচ্চমাধ্যমিকে প্রত্যাশার তুলনায় নম্বর কম এসেছে।
আবার কেউ কেউ পাশ করতে পারেনি পরীক্ষায়। বিকল্প পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়ার সময় সংসদে কিংবা স্কুলে গণ্ডগোল হয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশের। ফলপ্রকাশের জেরে দফায় দফায় বিক্ষোভ হচ্ছে। সেই ক্ষোভ সামাল দিতে সংসদকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে নবান্ন। ইতিমধ্যে স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছে সংসদ।
বলা হয়েছে, ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে দ্রুত কথা বলুক স্কুল কর্তৃপক্ষ। কেন পড়ুয়াদের ক্ষোভ, তা দ্রুত জেনে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে জানানো হোক। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যবস্থা নেবে সংসদ। দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে সরকারি স্কুলগুলিতে।
শুক্রবার থেকেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত রুমানা সুলতানার কান্দির স্কুলেও কম নম্বর পাওয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলার স্কুলে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। আবার খড়গপুরের এক স্কুলে ঢুকে ছাত্ররা টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের একাংশের অভিযোগ, মার্কশিট তৈরির সময় ভুলত্রুটি হয়েছে। যার জেরে পদক্ষেপ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
সূত্র : আজকাল
