গর্ভাবস্থায়ও ডায়েটিং নিরাপদ
সাধারণত ধারণা করা হয় গর্ভাবস্থায় ডায়েটিং শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু গর্ভকালে ওজন বেশি থাকলে তা কমানো এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস মা-শিশু দুয়ে’র জন্যই নিরাপদ।
তাছাড়া, এর কিছু উপকারিতাও আছে। এমনই বলা হয়েছে নতুন এক গবেষণা পর্যালোচনায়।
এতে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় ওজন নিয়ন্ত্রণ মা’য়ের জন্য নিরাপদ এবং শিশুর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
৭ হাজার নারীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পরিচালিত পূর্ববর্তী ৪৪ টি গবেষণা পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।
‘দ্য ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল’ সাময়িকীতে গবেষণা পর্যালোচনাটি প্রকাশিত হয়েছে। আর তা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে বিবিসি।
গবেষকদের মতে, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস এবং পরিমিত খাবার খাওয়া অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং গর্ভকালীন বিভিন্ন ঝুঁকি এড়াতে সহায়ক।
গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত ওজনের ফলে খিঁচুনি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অপরিণত শিশু জন্মদানের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই ওজন ঠিক রাখতে গবেষকরা পরিমিত ক্যালরিযুক্ত খাবারসহ সুষম খাবার, ফল-মূল, শাক-সবজি ও ডাল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গবেষণা পরিচালক লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাত্রীবিদ্যা বিশারদ ডা. শাকিলা থাঙ্গারাটিনাম বলেছেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়ন্ত্রিত ওজন গর্ভকালীন অনেক জটিলতা কমায়।”
তিনি আরো বলেন, নারীরা গর্ভাবস্থায় ডায়েটিং করা বা ওজন কমানোর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু এ উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। কারণ মায়ের ডায়েটিং এ শিশুর ওজনে কোনো সমস্যা হয় না।
তবে রয়েল কলেজ অব মিডওয়াইভসে’র রিসার্চ ফেলো ডা. জেনিন স্টকডেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “তার মানে এই নয় যে, গবেষকরা গর্ভাবস্থায় ওজন কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। বরং গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমানো এবং ওজন কম থাকলে তা বাড়ানোরই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “গর্ভাবস্থায় কোন ধাত্রী বা সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীর তত্ত্বাবধানে ডায়েটিং নিরাপদ।”