পথচলার তিনশো দিনটি স্মরণীয় করে রাখলেন ঝাড়গ্রাম শ্রমজীবী ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ। সোমবার তিনশো দিনে পড়ল সিপিআইয়ের ছাত্র ও যুব সংগঠনের পরিচালিত এই ক্যান্টিন।
এদিন ক্যান্টিনের সদস্যরা ঝাড়গ্রাম শহরে পদযাত্রা করেন। ক্যান্টিন চত্বরে তিনশো তম দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানে ছিলেন এআইএসএফের রাজ্য সম্পাদক সৈকত গিরি, রাজ্য সভাপতি ইব্রাহিম গাজি ও নাট্যকর্মী সৌরভ পালধি। এদিন মেনুতে ছিল ভাত, আলু-পটল-চিংড়ির তরকারি, চিকেন কষা, চাটনি, মিষ্টি ও পাঁপড়।
গত বছর ১ অক্টোবর থেকে সিপিআইয়ের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম শহরে চালু হয়েছে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’। রেল স্টেশন লাগোয়া সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি-র কার্যালয়ে ওই ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। মাত্র কুড়ি টাকায় প্রতিদিন দুপুরে সেখানে মেলে ভরপেট খাবার। সপ্তাহের সাতদিনই ওই ক্যান্টিন থেকে দুপুরে সুলভ দামে খাবার পাওয়া যায়। তবে একেবারে হতদরিদ্রদের খাবার দেওয়া হয় বিনামূল্যে। শহরে রোজই বহু মানুষ নানা প্রয়োজনে আসেন। এদের একটা বড় অংশ দরিদ্র শ্রেণির।
কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজন, গ্রাম থেকে আসা টোটোচালক, আউটডোরে দেখাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজন, দিনমজুরির কাজে আসা বহু মানুষের পক্ষে হোটেলের চড়া দামে খাবার কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই নামমাত্র দরে সুষম খাবার দেওয়ার জন্যই এমন ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে।
শ্রমজীবী ক্যান্টিনের দায়িত্বে রয়েছেন সিপিআইয়ের ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মূল তদারকিতে রয়েছেন সিপিআইয়ের যুব সংগঠন এআইওয়াইএফ নেতা শ্রীদীপ মুখোপাধ্যায়, গুরুপদ মণ্ডল, ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের রাজ্য সহ-সম্পাদক তথা সিপিআই নেতা প্রতীক মৈত্র ও জেলা সম্পাদক দেবাশিস ভুই।
ক্যান্টিনের স্লোগান: ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না’। কয়েকমাস আগে ক্যান্টিন পরিদর্শন করে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গিয়েছেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বাদশা মৈত্র, জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী, অভিনেতা দেবদূত ঘোষের মত বহু বিশিষ্টজন। শুধু তাই নয়, ক্যান্টিনের সদস্য-সদস্যদের নিয়ে রেভ ভলান্টিয়ার বাহিনী গড়ে করোনা আক্রান্তদের নানা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতীক মৈত্র জানালেন, তিনশো তম দিনে দু’শো জনকে নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে খাবার দেওয়ার পাশাপাশি, আরও জনা সত্তর দুঃস্থকে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়।