মিঠুনের সংলাপের জেরেই ছড়িয়েছে হিংসা! মানতে নারাজ হাই কোর্ট
‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি…’
এই একটি সংলাপ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝড় তুলেছিল গোটা রাজ্যে। বিজেপির রবিবাসরীয় ব্রিগেড মঞ্চে দলে যোগ দিয়েই এই সংলাপ বলেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এর পর প্রচারের কারণে রাজ্যের যে প্রান্তেই তিনি গিয়েছিলেন, মাইক ধরেই তাঁর বিখ্যাত সংলাপগুলো একের পর এক বলে গিয়েছিলেন তিনি। এই কারণেই মহাগুরুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক মন্তব্য, শান্তিভঙ্গের চেষ্টা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী, ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাঁকে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ মামলার দলিল শোনার পর, সংলাপের কারণে রাজ্যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তা মানতে নারাজ হয়েছেন। স্পষ্টভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই ক্ষেত্রে। তিনি যুক্তি দিয়ে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা ‘শোলে’র কথাও উল্লেখ করেছেন।
বিচারপতির বক্তব্য, ”শোলে’র আমজাদ খান থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার সিনেমায় জনপ্রিয় ডায়ালগ শোনা গিয়েছে। আমি কি বলতে পারি যে তা থেকে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে? মিঠুন চক্রবর্তী নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ওই ডায়লগ বলেছেন। এরপর আর কী তদন্তের বাকি থাকে!’
এখানেই শেষ নয়। বিচারপতি কৌশিক চন্দ আরও বলেন, ‘অভিনেতার ডায়লগে ভোট পরবর্তী অশান্তি তৈরি হয়েছে, এই দাবি ঠিক নয়। প্রাথমিক ভাবে আমি এমনটা মনে করি না যে অভিনেতার ওই মন্তব্যের কারণেই ভোট পরবর্তী অশান্তি তৈরি হয়েছে।’ বিচারপতির পর্যবেক্ষণে খানিকটা স্বস্তি মিলল মিঠুন চক্রবর্তীর। আগামী মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় মামলার পরবর্তী শুনানি।
সুত্র : আজকাল