রাজনীতি

‘বাংলায় কে বড় শত্রু তা বাম- কংগ্রেস নেতারা ভেবে দেখুন’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee : ‘বাংলায় কে বড় শত্রু তা বাম- কংগ্রেস নেতারা ভেবে দেখুন’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - West Bengal News 24

বাংলায় তাঁদের মূল শত্রুকে তা ঠিক করুক সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব। একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস একই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলায় বাম- কংগ্রেস শূন্য হয়ে যাওয়ার কারণেই শক্তি বৃদ্ধি করতে পেরেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় মূলত ছিলেন এ রাজ্যের সিপিএম নেতারা।

এ দিন দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, তৃণমূল নাকি বিজেপি, বাংলায় কে তাদের বড় শত্রু তা বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে ভেবে দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় কে বড় শত্রু তা বাম- কংগ্রেস নেতারা ভেবে দেখুন। কেরলে পারলে ওরা বাংলায় কেন বিজেপি-কে রুখতে পারল না?’

বাংলায় জোট বাঁধলেও কেরলে বাম এবং কংগ্রেস পরস্পরের বিরোধী শক্তি। কিন্তু সেখানে দু’ দলেরই প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। কেরলে বিজেপি-র উত্থান রুখে দিয়ে ফের সরকার গঠন করেছে বামেরা। এই উদাহরণ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, কেরলে বিজেপি-কে আটকাতে পারলে বাংলায় বামেরা ব্যর্থ হল কেন?

দিল্লি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার বারই বলছেন, বিজেপি-কে হারাতে সবাইকে একজোট হতে হবে। যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, সেখানে তাদের হাত শক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন মমতা। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে জোট করতে বামেদের সঙ্গে নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও ছুত্‍মার্গ নেই মমতার। অতীতেও রাজ্যে বামেদের শক্তিক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

অথচ বাংলায় নির্বাচনী লড়াইতে বিজেপি আর তৃণমূলকে কার্যত একই পংক্তিতে বসিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছিল বাম কংগ্রেস জোট। তার পরিণতি নির্বাচনী ফলাফলেই স্পষ্ট। রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি যেখানে ৩ থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছে, সেখানে শূন্যে নেমে এসেছে বাম কংগ্রেস। মমতা বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপি- তৃণমূলকে এক আসনে বসিয়ে আক্রমণ করতে গিয়েই রাজ্যে নিজেদের বিপর্যয় ডেকে এনেছে দুই দল।

জাতীয় স্তরে বিজেপি-কে আটকাতে বামেরাও যে তৃণমূলের সঙ্গ দিতে পারে, ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিমান বসু জবাব দিয়েছেন, ‘বিজেপি ছাড়া অন্য যে কোনও দলের সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত। ‘ তবে তৃণমূলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মেলানো নিয়ে বামেদের মধ্যেও মতানৈক্য রয়েছে।

বিজেপি-কে রুখতে বৃহত্তর জোটের পক্ষে সিপিএম- সিপিআই। কিন্তু আরএসপি-র মতো শরিক দল মনে করে, জাতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গ দিতে গেলে এ রাজ্যে বামেদের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমবে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ বামেরা কীভাবে নেবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়।

সুত্র : নিউজ ১৮

আরও পড়ুন ::

Back to top button