শুক্রবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন। তিনি বলেন, ‘২০২৪ এখনও অনেক দেরি। ৩৬ মাস। এই ক’মাসে অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে। এখন আমাদের রাজ্যের করোনা মোকাবিলা নিয়ে ভাবতে হবে। শিল্পায়ন নিয়ে ভাবতে হবে, রাজ্যের বেকারত্ব নিয়ে ভাবতে হবে।’ বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নিয়োগকে আক্রমণ করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, ‘এই পদে অধ্যক্ষকে নাম পাঠান মুখ্যমন্ত্রী আর পরিষদীয় মন্ত্রী। অধ্যক্ষ সেই নাম গ্রহণ করেন। একটা রাজ্য চালাতে খরচ করব আমরা, হিসেব করব আমরা আর হিসেব পরীক্ষা করব আমরা। এটা ভূভারতে কোথাও নেই, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। একজন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের কৃতীকে সরিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশকে বসালে যা হওয়ার তাই হবে।’
ভ্যাকসিন বণ্টনে কেন্দ্র, রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। বহুবার এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ‘আপনার টিকাকরণের হিসেব নিয়েই কেন্দ্র টিকা পাঠাচ্ছে। গণটিকাকরণে কেন্দ্রের সরকার বিজেপি-অবিজেপি ভেদাভেদ করেন না।’
এদিকে, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বিজেপি। এদিন বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে অধ্যক্ষর ঘরে হওয়া শুনানির পর এমনটাই জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। শুক্রবার ১টা নাগাদ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য ও কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
কিন্তু যার বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে এই শুনানি, সেই মুকুল রায় এখন দিল্লিতে। তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে ২৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলে শুনানি। শুক্রবার শুভেন্দু এই ইস্যুতে কিছু না জানালেও বিজেপি-র পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে বেশিদিন অপেক্ষা করবেন না তাঁরা। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে মামলা করবেন বিরোধী দলনেতাই।
সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস