ঝাড়গ্রাম

করোনা সচেতন করতে মাইক ফুঁকে বাজারে প্রচার পুর-প্রশাসকের

স্বপ্নীল মজুমদার

করোনা সচেতন করতে মাইক ফুঁকে বাজারে প্রচার পুর-প্রশাসকের - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম শহরে করোনার প্রকোপ কমার লক্ষণ নেই। হাটে বাজারে বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লোকজন। কেউ কথা শুনেছেন না। করোনার স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলছেন না অনেকে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের সব্জি বাজারে হাত-মাইক ফুঁকে শিক্ষকের ভূমিকায় নামলেন পৌর প্রশাসক প্রশান্ত রায়। এদিন সকালে কয়েকজন পৌর কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে ঢোকেন প্রশান্তবাবু। মাস্কহীনদের দেখে তিনি বলতে থাকেন, “এভাবে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। অন্যদের বিপদে ফেলবেন না। মাস্ক পরুন, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলুন।”

প্রশান্তবাবু বলেন, “সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এখানেও মৃত্যু হচ্ছে। তারপরও আপনারা সচেতন হচ্ছেন না কেন!” এদিন বাজারে মাস্ক বিলি করেন তিনি। মাছ বাজার ও ফল বাজারে গিয়েও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করেন।

ঝাড়গ্রাম বাজারে কোনও রকম করোনা বিধি মানছেন না কিছু ব্যবসায়ী ও বাজার করতে আসা লোকজন। গত বছর করোনার প্রথম পর্বে ঝাড়গ্রাম বাজারের একটি দোকানের দু’জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। পরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীও সংক্রমিত হয়েছিলেন। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাতেও সচেতন হচ্ছেন না একাংশ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

করোনা আক্রান্ত হয়ে শহরের বাসিন্দা এক চিকিৎসক ও এক পৌরকর্মী সহ চলতি বছরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার দু’টি প্রতিষেধক নিয়েও কয়েকজন পরে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। শহরের এক বিশিষ্ট প্রবীণ শিক্ষাবিদ সম্প্রতি সংক্রমিত হয়ে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই শিক্ষাবিদ রোজ বাজারে গিয়ে সব্জি-মাছ কিনতেন। অনুমান, বাজারে গিয়ে তিনি সংক্রমিত হন। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়ীরা নিজেরা বিনা মাস্কে এবং বিনা মাস্কের খদ্দেরদের জিনিসপত্র বিক্রি করলে তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button