জাতীয়

দেশে আবারও বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, আর-ফ্যাক্টর চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের

India Corona Update : দেশে আবারও বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, আর-ফ্যাক্টর চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের - West Bengal News 24

মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া করোনা পরিসংখ্যানে সাময়িক স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল দেশবাসী। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় ফের উদ্বেগ বাড়ল। একলাফে অনেকখানি বৃদ্ধি পেল সংক্রমণ। গতকালের তুলনায় বেশি মৃতের সংখ্যাও। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়াচ্ছে আটটি রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী R-Factor।

বুধবারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪২ হাজার ৬২৫ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল যা নেমেছিল ৩০ হাজারে। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৩২। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৫৬২ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৫৭ জন। তবে চলতি মাসেই দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংক্রমণের পাশাপাশি এদিন আবার ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৩৫৩ জন। এসব চিন্তার মাঝেই অবশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ২২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৬৮ জন।

টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত দেশে সাড়ে ৪৮ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ের থেকে যে এখনও দেশ অনেকটাই দূরে, ফের সেই ইঙ্গিতই দিলেন কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পল। তিনি জানান, পজিটিভিটি রেট বৃদ্ধি এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানিই এখন মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪৪টি জেলার পরিস্থিতি এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

পাশাপাশি R-ফ্যাক্টরের বাড়বাড়ন্তে অশনি সংকেত দেখছেন গবেষকরা। কী এই R-ফ্যাক্টর? এটি হল ভাইরাসের পুনরুৎপাদন। অর্থাৎ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে নতুন করে ভাইরাস তৈরি হচ্ছে। ফলে সংক্রমণের ভয় বাড়ছে। হিমালচপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাক্ষাদ্বীপ, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, পুদুচেরি ও কেরলে সবচেয়ে এর প্রভাব লক্ষ্মণীয়।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button