জলের তলায় হাসপাতাল, জরুরি অস্ত্রোপচার করতে সাঁতার কাটে হাসপাতালে পৌঁছলেন চিকিৎসকরা
বয়সের জন্য ঋতুস্রাব কেটে গেলেও টানা ৩০ দিন জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যন্ত্রণা হচ্ছে, আর এই রক্তক্ষরণের জন্য জরুয়া বাদ দেওয়ার চিকিত্সা শুরু হয় উদয়নারায়ণপুরের স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। যেহেতু এই সমস্যাটি এখন প্রায় সমস্ত মহিলার শরীরেই দেখা যায়। তাই চিকিত্সকদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি জরায়ুতে টিউমার হয়েছে। তা বাদ দেওয়ার জন্য জয়নগরের বাসিন্দা দীপালী মালিকের শল্যচিকিত্সার করার কথা ছিল।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের প্রবল বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে জলের তলায় উদয়নারায়ণপুরের স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন রোগী। দ্রুত চিকিত্সা না করলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই অগত্যা উপায় না পেয়েই চিকিত্সার জন্য জলের মধ্যেই সাঁতার কেটে হাসপাতালে এলেন চিকিত্সকেরা।
দীপালি মালিকের চিকিত্সার জন্য দায়িত্বে ছিলেন ডা. তারক দাস, ডা. প্রভাস দাস এবং ডা. অশোক খাড়া। প্রায় ৪০০ মিটার কোমর জল সাঁতরে তাঁরা পৌঁছলেন অস্ত্রোপচার করতে। সঙ্গে ছিলেন নার্সরা। টানা সাঁতার কেটে হাসপাতালে পৌঁছেই সফলতার সঙ্গে অস্ত্রোপচার করা হয় রোগীর। জলমগ্ন হাসপাতালে প্রায় এক ঘন্টা ধরে হয় এই অস্ত্রোপচার। এর ডাক্তারি ভাষায় নাম হিসটেরেকটমি।
করোনার মাঝেও চিকিত্সকেরা যেভাবে অন্যান্য রোগের জন্য চিকিত্সা করছেন তাও এবার এইভাবে তা তুলনা হীন। হিসটেরেকটমি অপারেশনের মাধ্যমে ইউটেরাস বা জরায়ু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এই অপারেশনের পর রোগীর ঋতুশ্রাব হয় না গর্ভধারণ করতে পারে না।
এই মুহূর্তে জলের তলায় উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। ইমার্জেন্সি থেকে আউটডোর সবই জলের নীচে। চারিদিকে কিলবিল করছে বিষধর সাপ। এর মাঝেই রোজই বারবার ডিভিসি জল ছাড়ায় আতঙ্ক ও জল দুইই বাড়ছে।
সূত্র : এই মুহুর্তে