দেহ ব্যবসার উদ্দেশে পাচার, প্রশাসনের তল্লাশিতে উদ্ধার ৩৫ জন নাবালিকা
জোর করে ধরে রেখে নাবালিকাদের দিয়ে ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে লছিপুরের যৌনপল্লীতে। বেশ কয়েকমাস ধরেই এই যৌনপল্লীতে এমন কাজ চলছে বলে খবর ছিল রাজ্যের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের কাছে। সেই সূত্র ধরেই বুধবার রাত্রে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে লছিপুরের সেই রেডলাইট এরিয়ায় আচমকা হানা দেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।
এই আচমকা অভিযানে নাবালিকা এবং মহিলা মিলিয়ে প্রথমে মোট ৩৫ জনকে উদ্ধারের কথা জানা গেলেও পরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০-এ। সবাইকে উদ্ধারের পর কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানান, কমিশনের কাছে খবর ছিল লছিপুরের পতিতাপল্লীতে ৫-৬ জন নাবালিকা মেয়েদের নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে।
জেলাশাসক ভিভু গোয়েল জানান, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী তাঁদের জানান, দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্রে নাবালিকাদের দিয়ে ব্যবসা করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই ৩৫ জনের শারীরিক পরীক্ষা হবে। তারপর সেই নাবালিকাদের হোমে পাঠাবে পুলিশ। এদিকে সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় ফের পরিদর্শনে আসেন পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর।
পরিদর্শন শেষে পুলিশ কমিশনার জানান যে, আজ নর্মাল ভিজিট করতে এসেছিলেন। মাঝেমধ্যেই এভাবে যৌনপল্লীতে অভিযান চলবে। নাবালিকাদের সঙ্গে প্রায় ২০ জন যুবতীকেও নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই নিয়ে প্রকাশ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দুর্বার সমিতির সদস্য কাজল ঘোষ। যদিও পরে তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি জানান, সরকার যৌনকর্মীদের খবর রাখে না।
পরপর দুটো লকডাউনে কীভাবে তাঁরা সংসার টানছে, সেদিকে ঘুরেও তাকায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানকার এক যৌনকর্মীও। তিনি জানান, পুলিশ তাঁদের কথা শুনছে না। স্থানীয় এক নির্দোষ যুবককেও পুলিশ দোষী বলে চিহ্নিত করেছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, দু’দিনের অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর জানান, কেস ফাইল করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজও চলছে। একজনকে ইতিমধ্যেই দোষী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্ত জারি থাকবে।
সুত্র : দ্য ওয়াল