সারাদিন টানাপোড়েনের পর রবিবার মধ্যরাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতা ফেরেন আহত দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত।
কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দেবাংশু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, ‘আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা যখন পুলিশকে সব বলি, দেখি বিজেপির গুন্ডারা ওখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবং পুলিশ সেই লোকগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে যারা আমাদের গাড়ির উপর ইঁট ছুঁড়েছিল।’ বলেও অভিযোগ জানান দেবাংশু।
কলকাতায় পৌঁছে বিপ্লব দেবের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দেবাংশু আরও বলেন, ‘দুপুর আড়াইটে নাগাদ আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়। এরপর আমাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।
আমরা কীভাবে বেরোবো বুঝতে পারছিলাম না। ততক্ষণে সুদীপ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে বারবার। এইভাবে পাঁচটা অবধি থাকার পর আমরা বারবারই পুলিশকে আমাদের ওখান থেকে বার করবার জন্য বলি। তখনও পুলিশ প্রশাসনের তরফে বলা হয় আপনারা এখন যাবেন না। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারবোনা।
এরপর ৬টা নাগাদ আমাদের পাইলট কার দেওয়া হয়। তারপর আমরা সেখান থেকে বার হই। এরপর আমরা বেরোবার পর রাস্তায় বেশ কয়েকবার দাঁড়াবার পর একটা জায়গায় হঠাত্ পৌঁছে দেখি আমাদের সামনের পিছনের গাড়ি নিরুদ্দেশ। এরপর হঠাত্ করে একটা মোড়ে পৌঁছানোর পর আবারও আমাদের গাড়ির উপর ইঁট বৃষ্টি করা হয়। এরপর বড় গাছের গুঁড়ি দিয়ে আমাদের গাড়ির কাঁচে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
আমরা মাথা নীচু করে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যাই। এবং সেই সময় যারা আমাদের ঘিরে ধরে তাদের প্রত্যেকের হাতে দাঁ ছিল কাস্তে তলোয়ার ছিল। ওইখানে কোনো পুলিশ প্রশাসন কেউ ছিল না আমরা ওদের হাতে ধরা পড়লে আমাদের শরীরের কটা টুকরো হত আমরা নিজেরাও জানিনা’ বলে সরাসরি অভিযোগে সরব হন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
সুত্র : প্রথম কলকাতা