জাতীয়

‘এত ভয় পাচ্ছেন কেন মোদিজি?’, দলের টুইটার হ্যান্ডেল ‘লক’ হওয়ার পরই প্রশ্ন কংগ্রেসের

‘এত ভয় পাচ্ছেন কেন মোদিজি?’, দলের টুইটার হ্যান্ডেল ‘লক’ হওয়ার পরই প্রশ্ন কংগ্রেসের - West Bengal News 24

টুইটারে দলীয় অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। গত শনিবার সাময়িকভাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় কোপ পড়ল কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টেও। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেসের তরফ থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি স্ক্রিন শট পোস্ট করা হয়।

সেখানে দেখা যায়, কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্টটি লক করার কথা জানানো হয়েছে টুইটারের তরফে। পরে অবশ্য সেটি খুলেও দেওয়া হয়। এমনকি পাঁচ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বিধিভঙ্গের অভিযোগে বুধবার দলের পাঁচ বর্ষীয়ান নেতার টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের মিডিয়া প্রধান রণদীপ সিং সূরযেওয়ালা, দলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেন, নেতা মানিকাম ঠাকুর, অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা এবং রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক সময়ের জন্য ব্লক করার প্রতিবাদ করার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কংগ্রেসকে টুইটারের তরফ থেকে বলা হয়, এমন কিছু পোস্ট করা হয়েছিল কংগ্রেসের ওই প্রোফাইল থেকে যা টুইটারের নিয়ম বিরুদ্ধ। সেই কারণেই প্রোফাইল লক করে দেওয়া হয়েছে। কোন পোস্টটি নিয়ে এই বিতর্ক? ৮ আগস্ট, টুইটার ইন্ডিয়াকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করা হয় কংগ্রেসের তরফ থেকে। সেটিতে লেখা হয়, ‘টুইটার ইন্ডিয়া আমাদের প্রোফাইল লক করুন, আমরা আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছি। ন্যায়ের জন্য আমাদের লড়াই কেউ রুখতে পারবে না। আমরা সত্যিটা সামনে এনে ছাড়ব।’

কংগ্রেসের দাবি, এই টুইটটির জন্য সাময়িকভাবে লক করে দেওয়া হয়েছিল অ্যাকাউন্ট। ইনস্টাগ্রামে বৃহস্পতিবার এই পোস্ট দিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘মোদিজি, আপনি আমাদের এত ভয় পান! মনে রাখতে হবে, কংগ্রেস দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। তখনও আমাদের প্রধান অস্ত্র ছিল সত্য। সঙ্গে ছিল অহিংসা নীতি ও মানুষের ইচ্ছাশক্তি। আমরা জিতেছিলাম। এবারও আমরা জিতব।’

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং টুইটারের প্রধান জ্যাক ডোরসির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। এর আগে দিল্লিতে এক ন’বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠার পর মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করেন। তাতেই তাঁর অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সূত্র : আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button