বর্ধমান

বিয়ের তিন সপ্তাহ পর আত্মঘাতী নববধূ ও তাঁর স্বামীও

 

বিয়ের তিন সপ্তাহ পর আত্মঘাতী নববধূ ও তাঁর স্বামীও - West Bengal News 24

মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই পালিয়ে বিয়ে করেছিল এই প্রেমিক যুগল। কিন্তু প্রথমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় স্ত্রী, তাঁর মত্যুর পর একই ঘরে গলায় দড়ি দিল স্বামীও। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার শ্রীখণ্ড গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালীর বাড়ি মঙ্গলকোটের পিন্ডিরা গ্রামে। ফেসবুকেই পরিচয় হয় পেশায় বিয়েবাড়ির ফটোগ্রাফার রাজেশ রায়ের সঙ্গে। সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

যদিও আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল রাজেশের। কিন্তু প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বছর দুই আগে। সপ্তাহ তিনেক আগেই মঙ্গলকোট থেকে পালিয়ে আসে পিন্ডিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালী। তাঁর পরিবারের দাবি, ১৮ পূর্ণ না হওয়ার জন্য এখনই বিয়েতে আপত্তি করেছিলেন তাঁরা। সেটা না শুনে লুকিয়ে বিয়ে করে দুজনে।

আরো পড়ুন : বিজেপি বিধায়ক বলে ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার থেকে ফিরে আসতে হয়েছে : মনোজ টিগ্গা

শনিবার একটি বিয়েবাড়ির ছবি তোলার কাজে গিয়েছিল রাজেশ। সেদিন রাতেই নিজের ঘরে গলায় দড়ি দেয় সোনালী। রাতের দিকে ডাকাডাকিতে সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজেশের বাড়ির লোকজন।

সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই ছুটে আসে রাজেশ। কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে শুনেই নিজের ঘরে চলে যায় সে। এরপর ওই ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় রাজেশ। ভোর রাতে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অপরদিকে রাজেশের পরিবারের দাবি, দুজনের বা পরিবারে কোনও অশান্তি হয়নি। কেন সোনালী আত্মহত্যা করল সেটা তাঁরা বুঝতে পারছে না। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে নবদম্পতির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই গ্রামে।

সূত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button