পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানালেন আফগান প্রেসিডেন্ট
দুই দশক পর আফগনিস্তানের ক্ষমতায় বসতে চলেছে তালেবানরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে একরকম পালিয়েই গেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এরপরও আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, রক্তপাত এড়াতে তার হাতে আর কোনো ‘বিকল্প ছিল না’।
মাত্র দশ দিনের মধ্যে আফগনিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে রোববার সকালে প্রায় বিনা প্রতিরোধে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান বাহিনী। এরপর ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ বিষয়ে তালেবানের সমঝোতার আলোচনার মধ্যেই বিকেলে জ্যেষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হন গনি।
রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সংঘাত এড়ানোর জন্যই’ তিনি কাবুল ছেড়েছেন। কারণ লাখো মানুষ সেখানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার পর আফগনিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে এটাই তার প্রথম বক্তব্য। যদিও তিনি কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে তার উজবেকিস্তানে আশ্রয় নেয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
আরো পড়ুন : সেই মোল্লা ওমরের ছেলে তালেবানের নেতৃত্বে
তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের সব প্রবেশ পথ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আফগান সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করার পর আফগনিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মিরজাকওয়াল বলেছিলেন, একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
কিন্তু পরে প্রেসিডেন্ট গনির দেশত্যাগের খবর এলে তালেবান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন কোনো সরকার আফগনিস্তানে হবে না। তালেবান সরাসরি দেশের ক্ষমতা বুঝে নেবে। তালেবান বাহিনী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলেও গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আরো পড়ুন : তালেবানের হাতে কাবুল, বাইডেনের পদত্যাগ দাবি ট্রাম্পের
তালেবানের সঙ্গে সরকারের শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য যে ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন’ গঠন করা হয়েছিল, তার চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আশরাফ গনি এখন ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট’, যিনি দেশকে ‘এ অবস্থায় রেখে’ পালিয়ে গেছেন। এখন আল্লাহর কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। পুরো জাতিই তার বিচার করবে।
আর গনির মন্ত্রিসভার ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী বলেছেন, “আমাদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেশটা বিক্রি করে দিয়ে চলে গেল ওই ধনী লোক (গনি) আর তার গ্যাং।
সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স