জাতীয়

এবার পুলিশের জালে এবার ভুয়ো ‘নাসা’-র এজেন্ট, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ

এবার পুলিশের জালে এবার ভুয়ো ‘নাসা’-র এজেন্ট, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ - West Bengal News 24

নাসার এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে ভিন রাজ্যের নাগরিকের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ।এয়ারপোর্টের বাসিন্দা মধুমিতা সাহাকে গ্রেফতার করল নারায়নপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবারই ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানার বাসিন্দা নরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তি গতকাল নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ করে যে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে পরিচয় হওয়া এক মহিলা নিজেকে নাসার এজেন্ট ( নাসার ডি.আর.ডিও-তে সুপার অ্যান্টিক মেটাল ডেলিভারির এজেন্ট )বলে পরিচয় দেয় । এবং অভিযোগকারীকে বলে যে এই সুপার অ্যান্টিক মেটাল কম পয়সায় কিনে নাসাতে ডেলিভারি করবে।

সেখান থেকে দ্বিগুণ টাকা পাওয়া যাবে। সেই কারণে ইনভেস্টর হিসাবে তারা বিভিন্ন ব্যাক্তির থেকে টাকা নেয় এবং সেই টাকার লাভের অংশ প্রত্যেক ইনভেস্টরকে দেওয়া হবে। এইভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বার অভিযোগকারীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা নারায়ণ পুর থানা এলাকার ডিরোজিও কলেজ সংলগ্ন একটি জায়গায় এই টাকার লেনদেন হয় বলে জানা গিয়েছে। নেওয়ার পর অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অভিযুক্ত।

আরো পড়ুন : বিরোধী জোটের শক্তি বাড়াতে আজই বৈঠক সোনিয়ার, থাকবেন মমতা সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ হলে বৃহস্পতিবার রাতেই এয়ারপোর্টের বাসিন্দা মধুমিতা সাহা নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে নারায়নপুর থানার পুলিশ। ওই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ২২ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি।

পুলিশি সূত্রের খবর, ধৃতকে শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। পুলিশের তরফ থেকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে । ধৃত মহিলাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত, গোটা বিষয়ে তদন্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, ভোটের পর থেকে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন কাণ্ড ফাঁস হবার পর থেকেই নড়ে বসেছে রাজ্য প্রসাশন।

আরো পড়ুন : ‘অন্য দলে যাচ্ছি না’, দিলীপ ঘোষকে ‘ভণ্ড’ বলে বিজেপি ত‍্যাগ রূপার

ইতিমধ্যেই ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক, মানবাধিকার কমিশনের কর্মী, এমনকি ন্যাশনাল ক্রাইম ব্য়ুরোর ভুয়ো আধিকারিকও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। শহরের রাস্তায় কড়া নজর রাখা হচ্ছে নীল বাতি গাড়ি কিংবা রাজ্য-কেন্দ্রের নামে লেখা স্টিকার এবং নেমপ্লেটে। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আর এতে সহয়োগিতাও করছে প্রকৃত নীলগাড়ির বড় কর্তারা। তবে মাঝে মাঝে মধ্যে বেগতিক দেখলে পুলিশ গাড়ি থামাতেই ধরা পড়ছে একের পর এক ভুয়ো গুণধরেরা। কখনও আইপিএস বা ভারত সরকার-রাজ্য সরকারের শীর্ষ পদে নামাঙ্কিত করে গাড়ির উপরে রাখছে দুষ্কৃতিরা। এখনও অবধি একাধিক প্রতারকের পর্দা ফাঁস করেছেন কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। তবে প্রতারণা করতে গিয়ে ধৃতরা এবার ছাড় দিল না নাসাকেও।

সূত্র : এশিয়া নেট

আরও পড়ুন ::

Back to top button