ধ্বংসাত্মক শক্তি কিছু সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে, অনন্তকাল নয় : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
‘ধ্বংসাত্মক, সন্ত্রাসবাদী শক্তি কিছু সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে পারলেও তাদের অস্তিত্ব স্থায়ী হয় না’, আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ প্রসঙ্গে এমনই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এপ্রসঙ্গে গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের উদাহরণ টেনেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘কয়েক শতাব্দী ধরে সোমনাথ মন্দির বেশ কয়েকবার ভেঙে ফেলা হয়েছে। মন্দিরের ভাস্কর্যগুলি ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সেই চেষ্টার বিরুদ্ধে জয় এসেছে। সময়ের পরীক্ষায় জিতে ঘুরে দাঁড়ানো গিয়েছে বারবার।”
তালিবানের করাল গ্রাসে গোটা আফগান-মুলুক। আফগানিস্তানে শরিয়ত শাসন প্রতিষ্ঠা করতে তত্পর তালিবান। প্রাণভয়ে আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক নিরীহ নাগরিকদের। ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়তেই ২০ বছর পর সেদেশে শুরু তালিবান-জমানা? আতঙ্কে দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। আফগানিস্তান থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ নাগরিকদের উদ্ধার করছে।
আরো পড়ুন : এবার পুলিশের জালে এবার ভুয়ো ‘নাসা’-র এজেন্ট, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
বিদেশি বিমানগুলিতে চেপে দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টায় আফগানরা। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানবাসীর পাশে দাঁডা়নোর বার্তা আগেই দিয়েছে ভারত। সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে ও আফগানদের দেশে আশ্রয় দিতে নতুন ভিসা বিভাগ চালু করেছে মোদী সরকার।
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আফগানিস্তান নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি-গোষ্ঠীগুলি আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করছে। তাঁর মতে, ”আফগানিস্তানে যা ঘটছে তা আঞ্চলিকভাবে তো বটেই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।”
আরো পড়ুন : বিরোধী জোটের শক্তি বাড়াতে আজই বৈঠক সোনিয়ার, থাকবেন মমতা সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
তালিবানি দখলে গোটা আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পর থেকেই সে দেশে হাক্কানি নেটওয়ার্কের তত্পরতা বাড়ছে। পাকিস্তানে থাকা লস্কর-এ-তইবা, জইশ-এ-মহম্মদ-এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি তাদের তত্পরতা আরও বাড়াচ্ছে।
আফগানিস্তান নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীও। তালিবানি শক্তি অল্প সময়ের জন্য হলেও আফগানিস্তানে পাকাপাকিভাবে টিকে থাকতে পারবে না বলে মনে করেন মোদী। তিনি এদিন বলেন, ”যে বাহিনী ধ্বংসের জন্য সংগ্রাম করে এবং যারা সাম্রাজ্য তৈরির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়, তারা কিছু সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব কখনও স্থায়ী হয় না। কারণ মানবতাকে চিরকাল ধরে দমন করে রাখা যায় না।”
সূত্র : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস