জাতীয়

এজন্যই দরকার নাগরিকত্ব আইন, আফগান সংকটে ব্যাখ্যা কেন্দ্রের মন্ত্রীর

এজন্যই দরকার নাগরিকত্ব আইন, আফগান সংকটে ব্যাখ্যা কেন্দ্রের মন্ত্রীর - West Bengal News 24

বর্তমান আফগানিস্তানে সংকটের প্রেক্ষিতে নাগরিকত্ব আইনের কথাই তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। আফগানিস্তান থেকে এদিনও বহু মানুষকে উদ্ধার করে দেশে নিয়ে এসেছে সরকার। একটি একটা সময়ে দেশে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে হওয়া বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। হিংসা ও পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নাগরিকত্ব আইনে মুসলিম ব্যতীত প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ২০১৫ সালের আগে আসা সেখানকার সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, আমাদের এক প্রতিবেশী দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানকার শিখ ও হিন্দুরা যেভাবে এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রণয়ন করা প্রয়োজন ছিল। এদিন তিনি আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা একটি বিমানের ভিতরকার ছবি টুইট করেছেন।

আফগানিস্তান থেকে ভারতে আনা হয়েছে বহু মানুষকে

এজন্যই দরকার নাগরিকত্ব আইন, আফগান সংকটে ব্যাখ্যা কেন্দ্রের মন্ত্রীর - West Bengal News 24

এদিন আফগানিস্তান থেকে ভারতে আনা হয়েছে ১৬৮ জনকে। এঁদের মধ্যে ২৮ জন সেখানকার নাগরিক। এঁদের মধ্যে ২ জন সাংসদও রয়েছেন। তারাঁ দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিলেন। সরকারের তরফ থেকে আফগানিস্তান থেকে আসা শিখ ও হিন্দুদের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে ক্যাবিনেট বৈঠকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

এজন্যই দরকার নাগরিকত্ব আইন, আফগান সংকটে ব্যাখ্যা কেন্দ্রের মন্ত্রীর - West Bengal News 24

গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে পৌরহিত্য করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ভারত শুধু তাদের নাগরিকদেরই রক্ষা করে না, তারা হিন্দু এবং শিখ সংখ্যালঘু যাঁরা এদেশে আশ্রয় নিতে চান তাঁদেরও আশ্রয় প্রদান করে। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, আফগান ভাই-বোনেরা যাঁরা ভারতে আসতে চান কিংবা ভারতের সাহায্য চান, তাঁদেরও সবরকমের সাহায্য করা হবে।

২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে আইন

এজন্যই দরকার নাগরিকত্ব আইন, আফগান সংকটে ব্যাখ্যা কেন্দ্রের মন্ত্রীর - West Bengal News 24

২০১৯-এর ডিসেম্বরে দেশের সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলিম প্রধান দেশ থেকে সেইসব দেশের সংখ্যালঘু যাঁরা, তাঁরা ধর্মীয় কারণে যদি ২০১৫-র আগে এদেশে এসে থাকেন, তাহলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন : ত্রিপুরায় সাহসী তৃণমূলের প্রশংসায় মানিক সরকার, বিজেপির নিন্দায় নয়া সমীকরণ?

সেই সময় সমালোচকরা বলেছিলেন, এই আইনের সঙ্গে এনআরসি করে টার্গেট করা হবে মুসলিমদের। দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। টানা তিনমাস বিভিন্ন বয়সের মহিলারা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তারপর করোনা লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়।

২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে আইনটি দেশে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এর অধীনের বিধিগুলি সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এই বিধিগুলি তৈরি হওয়ার পরে যোগ্যদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ৪ অগাস্ট সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভা বলেছিলেন, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছে নেই।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন ::

Back to top button