দ্রুত শিক্ষাঙ্গনে পঠন-পাঠন চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করলো ছাত্র সংগঠন ইসলামিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন
সঞ্জিব দত্ত
“শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, তবুও শিক্ষাঙ্গন কেন বন্ধ?” শিরোনামে রাজ্য জুড়ে প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে উওর ২৪ পরগনা জেলার বেঁড়াচাপা বাদুড়িয়া তিন রাস্তার মোড়ে মানব বন্ধন করল ছাত্র সংগঠন এসআইও। অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাঙ্গনে পঠনপাঠন চালুর দাবি জানায় তারা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় মানব বন্ধন।প্রায় তিরিশ মিনিট চলে মানব বন্ধন।
তারপর শুরু হয় প্রতিবাদ সভা,উক্ত সভায়্ উপস্থিত ছিলেন জেলা, প্রেসিডেন্ট আরাশাফুজ্জামান ইসলাম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু হানিফা মাস্টারমশাই,এছাড়াও ছিলেন জেলা সহকারী ক্যম্পেইন কনভেনর মহঃ রবিউল ইসলাম।, (এপিক্স বিএড কলেজের অধ্যাপক) ও আরো অন্যান্য শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সম্মানিত ব্যক্তিত্ত্বগণ্।
সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বর্তমান প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, শিক্ষার্থী সমাজ তথা আগামির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে, এবং তাদেরকে বাঁচানোর উপায়।
আরও পড়ুন : ‘এঁরা শিক্ষক নন, BJP’র ক্যাডার’, বিকাশ ভবনের সামনে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’র ঘটনায় তোপ শিক্ষামন্ত্রীর
মূলত তাঁদের একটি বিশেষ দাবি সেখানে প্রকাশ পায়, সেটি হলো অনতিলম্বে বিদ্যালয়- মহাবিদ্যালয় ,খুলে দিয়ে পঠন-পাঠন শুরু করা হোক, নির্দিষ্ট নিয়ম নীতিমালা মান্য করে, মাক্স-স্যানিটাইজার ব্যবহার করে, প্রয়োজনে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কে কোভিড ডোজ দিয়ে 60% ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আলাদা আলাদা দিন ভাগ করে, প্রতিটা বেঞ্চে দুজন করে শিক্ষার্থীদের কে,বসিয়ে ক্লাস শুরু করা হোক। সেখানে অভিযোগ করা হয় – “খোলা আছে,সিনেমা হলগুলো”, খোলা আছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি, অথচ স্কুল -কলেজ গুলি কেন বন্ধ থাকবে ? এই প্রশ্নই সেখানে, প্রতীয়মান হয়ে ওঠে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা “সভাপতি আশরাফুজ্জামান” বলেন, “আজকে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় স্কুল ছুটের সমস্যা বাড়ছে এবং ছাত্র ছাত্রীরা মানসিক অবসাদের শিকার হতে পারে তাছাড়া সাইবার ক্রাইম ,শিশুশ্রমিক, প্রভৃতি দিন দিন মহামারী আকার ধারণ করছে। সমাজের একটি বৃহৎ অংশ নিরক্ষর হতে চলেছে। তাই অনতিবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষালয় গুলিকে খুলে দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি।”
দুয়ারে সরকারের মতো দুয়ারে শিক্ষাও কেন হবেনা সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি আরো বলেন যে শিক্ষা দপ্তর একটি স্ব-শাসিত দপ্তর হওয়া সত্ত্বেও, নির্দিষ্ট নিয়ম নীতিমালা তৈরি করে সিক্সটি পার্সেন্ট স্টুডেন্টদেরকে দিয়ে ক্লাস করানো যেতে পারে বাকি আবার অন্য অন্য স্টুডেন্টস গুলোকে আরেকদিন ক্লাস নেওয়া যেতে পারে, যেখানে ভোটের মতন এত বড় একটা বিষয়, বাইরে থেকে কর্মচারী এনে ভোট প্রক্রিয়া করনটি ভাল ভাবে সম্পন্ন হল, সেখানে শিক্ষা দপ্তরের সমস্ত কর্মচারী, শিক্ষকরা থাকা সত্বেও বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয় গুলি কেন খোলা হচ্ছে না? তিনি এও বলেন যে, ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ কর্মসূচি গ্রহণ করছি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আমরা বিষয়টি তুলে ধরছি এবং আমরা খুব শীঘ্রই শিক্ষা দপ্তরের বা মাননীয় “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের” দপ্তরে স্মারকলিপি নিয়ে যাব যাতে অতি দ্রুত স্কুল-কলেজগুলোতে পঠন-পাঠন শুরু হয়।
বিশিষ্ট শিক্ষক আবু হানীফা মাস্টারমশায় টানা দু বছর স্কুল বন্ধ থাকার ভয়াবহ ফলাফল সবার সামনে তুলে ধরে সরকারকে অবিলম্বে শিক্ষালয় গুলো খুলে দেওয়ার আহবান জানান। এছাড়া এই সংগঠনের জেলা সংগঠন সম্পাদক মিজানুর হক আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচি তে অংশগ্রহণ করেন। এই কর্মসূচির জেলা সহকারী কনভেনর “রবিউল ইসলাম “বলেন – আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যারা তাদের কাছে আমাদের এ দেশ ও জাতি অনেক প্রত্যাশা করে।আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে শিক্ষা যে একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার তার বাস্তবায়ন কোথায়? আর কত দিন এমন করে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছাএ ছাত্রীদের দুরে সরিয়ে রাখবে হবে।
সভাশেষে্ রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষাবিদ্ ও সমাজতত্ত্ববিদ্ সঞ্জীব দত্ত,রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরবারে বিশেষ আর্জি জানিয়ে, কভিডকে সামনে রেখে স্কুল-কলেজ গুলি নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিমালা তৈরি করে, অবিলম্বে পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে এই দাবি রেখ কবিগুরু “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের”-” চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য উচ্চ যেথা শির্” এই বিশেষ্ কবিতাটি পাঠ করে ও ব্যাখ্যা করে, “ইসলামিক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন” উত্তর 24 পরগনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বিশেষ শিক্ষা সংক্রান্ত ক্যাম্পেইনটির ইতি টানেন।।