৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন, ফেরার স্বামী
৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূ খুন। অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। সোনারপুর দক্ষিণ জগদ্দল থানা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত পলাতক।
মৃতা তনিমা ঢালি ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন। মগরাহাটের গোলবাড়ির বাসিন্দা তিনি। ৯ বছর আগে বিয়ে হয় দক্ষিণ জগদ্দলের সাবির ঢালির সঙ্গে। তাদের ৮ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। মাস কয়েক আগে ফের অন্তঃসত্ত্বা হন তনিমা দেবী। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রতিদিনই চলত জোর করা হত তাঁকে বলে অভিযোগ। চলত শারীরিক – মানসিক নির্যাতন। প্রায়ই সাবির রাতে মদ খেয়েও বাড়ি ঢুকতেন। নেশাগ্রস্ত অবস্হায় স্ত্রী কে মারধর করতেন।
শনিবার মারা যান তনিমা। তার প্রতিবেশীরা সেই খবর দেন তনিমার বাড়িতে। জামাইয়ের কাছে মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চান মৃতার বাবা। সাবিরের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মৃতার বাবার কথায়, প্রথমে সাবির বলে তার স্ত্রী গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পর মুর্হূতেই বলে, বিষ খেয়ে মারা গেছে তনিমা। সে হাসপাতালে রয়েছে। সাবিরের কথায় সন্দেহ হওয়ায় তনিমার বাবা সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরো পড়ুন : আবাসিক হোমে নাবালকদের উপর যৌন নির্যাতন! সোনারপুরে গ্রেফতার ২
তার স্পষ্ট অভিযোগ, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে তার জামাই। জামাইকে এই কাজে সাহায্য করেছে পরিবারেরই আরও কয়েকজন। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন শোকাহত বাবা। তনিমার মামারও অভিযোগ সাবিরের বিরুদ্ধে। তার কথায়, ‘৯ বছরের সংসার। প্রতিদিন নির্যাতন চলত। মেয়েটাকে বাঁচতে দিল না ওরা। এভাবে যেন কোনও মায়ের কোল খালি না হয়’।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্তে সোনারপুর থানা। অবশ্য ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাবির ঢালি এখন পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
সূত্র: কলকাতা টিভি