স্বাস্থ্য

এই জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে বানিয়ে নিন কৃষ্ণের প্রিয় খাবারগুলি!

এই জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে বানিয়ে নিন কৃষ্ণের প্রিয় খাবারগুলি! - West Bengal News 24

জন্মাষ্টমীর সঙ্গে খাবারের এক অদ্ভুত মিল রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে শ্রী কৃষ্ণের জন্মের দিন পালিত হয়ে আসছে। তাঁর দুধ, মাখন ইত্যাদির কথা মাথায় তৈরি করা কিছু বিশেষ খাবার, যা এই দিন ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে অর্পিত করা হয়। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই খাবারের তালিকা যা জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন।

জন্মাষ্টমীর ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার হল পঞ্জিরি। এই খাবার উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পাঞ্জাব এলাকায় জনপ্রিয়। ধনের বীজ গুঁড়ো, চিনি গুঁড়ো, দেশি ঘি, কাজু বাদাম, বাদাম, পেস্তা এবং কিশমিশ দিয়ে তৈরি করা হয় পঞ্জিরি।

সমগ্র ভারতেই জনপ্রিয় ক্ষীর বা পায়েস। বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন নাম ডাকা হয় এই মিষ্টিকে। তবে স্বাদের কোনও তুলনা হয় না। দুধ, শুকনো ফল, চাল, সাবুদানা বা মাখনা দিয়ে তৈরি হয় ক্ষীর বা পায়েস। স্বাদের জন্য যোগ করা হয় এলাচ ও জাফরান। ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে অর্পিত করা ‘ছাপ্পান ভোগে’ এই মিষ্টি সবার প্রথমে রয়েছে।

আরো পড়ুন : লাউ দুধের পায়েস যেভাবে বানাবেন

পৌরাণিক কাহিনিতে শ্রী কৃষ্ণের প্রিয় খাবার হিসাবে ‘মাখনের’ নাম সর্বদাই উঠে আসে। তাই এই খাবারকে জন্মষ্টমীর দিন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। বাড়িতে তৈরি তাজা মাখন বা মাখান, মিসরি বা চিনি দিয়ে তৈরি এই সাধারণ খাবারটি সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যেতে পারে।

জন্মাষ্টমীর দিন দুধের সাথে মধু মিশিয়ে পানীয় না বানালে অসম্পূর্ন থেকে যায় ভোগ। পবিত্রতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত, এটি ভগবান কৃষ্ণকে দেওয়া হয় এবং তারপরে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। মূলত পঞ্চামৃত হিসাবে সহজেই এই খাবারটি বাড়িতে বানাতে পারেন।

গোপালকলা, এই খাবারটি ‘গরিবের খাদ্য’ হিসাবে ভারতে বেশ পরিচিত। এই সাধারণ খাবারটি সেদ্ধ ভাত, শসা, নারকেল, দই, ঘি, চিনি এবং জিরে ভাজা দিয়ে তৈরি করা হয়। এই সমস্ত উপাদান গুলি মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করা হয় এবং তারপর তা ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে অর্পিত করা হয়।

মাখনপাগ জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে তৈরি একটি বিশেষ খাবার। এই খাদ্য প্রস্তুতির জন্য পদ্মবীজ, দুধ, ঘি এবং গুঁড়ো চিনি ব্যবহার করা হয়। মুচমুচে স্বাদের জন্য সমগ্র ভারতে এর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।

পঞ্চামৃত না দিলে জন্মষ্টমীর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। মূলত মধ্যরাতে ভগবান কৃষ্ণকে স্নান করানোর জন্য এই খাবারটি তৈরি করা হয়। কিন্তু এর স্বাদ ভারতীয় ভক্তদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাজা দুধ, দই, ঘি, মধু, চিনি-গুড়, তুলসী পাতা এবং মাখন দিয়ে তৈরি করা হয় পঞ্চামৃত। আচার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় পর এই পঞ্চামৃত ভাগ করে দেওয়া হয় ভক্তদের মধ্যে।

নারকেল নাড়ু বা লাড্ডুও রয়েছে জন্মাষ্টমীর এই খাদ্য তালিকায়। নারকেল, শুকনো ফল এবং বাদাম, চিনি এবং ঘি দিয়ে তৈরি করা হয় নারকেল নাড়ু বা নারকেলের লাড্ডু। ঘি এবং মাখন ভগবান কৃষ্ণ পছন্দ করেন বলে মনে করা হয় এবং মনে করা হয় যে তাকে খুশি করার সর্বোত্তম উপায় হল তাঁর প্রিয় খাবার গুলি প্রসাদ হিসাবে অর্পিত করা।

আরো পড়ুন : জবা ফুলের চায়ের কত গুণ জেনে নিন

জন্মাষ্টমীর শুভ দিনে শুধুই যে মিষ্টি তৈরি করবেন না তা তো হয় না। সহজেই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন সাবু দানার খিচুড়ি। সাবুদানা, কাঁচা লঙ্কা, চিনাবাদাম, সিন্ধু নামক, টমেটো এবং ঘি দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিন সাবু দানার খিচুড়ি। তবে আগে থেকে সাবুর দানাকে জলে ভিজিয়ে রাখবেন।

শুধু ভগবান শ্রী কৃষ্ণ নয়, বরং সমগ্র ভারতবাসী ভালবাসে এই মিষ্টি খেতে, যার নাম গোলাব জামুন। ময়দা, এলাচ, কাজু, গোলাপ জল, চিনির সিরাপ এবং জাফরান দিয়ে তৈরি করা হয় গোলাব জামুন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে দুধের তৈরি রাবড়ি দিয়ে গোলাব জামুন পরিবেশন করা হয়।

সূত্র: টিভি ৯

আরও পড়ুন ::

Back to top button