জাতীয়রাজনীতি

রাহুল গান্ধী কে ‘রাজনীতির কোকিল’ বলে কটাক্ষ বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের

Sambit Patra : রাহুল গান্ধী কে ‘রাজনীতির কোকিল’ বলে কটাক্ষ বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের - West Bengal News 24

রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে মহাপঞ্চায়েত বসান কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা কৃষকরা। কৃষকদের আন্দোলন সমর্থন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেজন্য সোমবার তাঁকে ‘রাজনীতির কোকিল’ (Political cuckoo) বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তাঁর যুক্তি, কোকিল যেমন নিজে বাসা বানায় না, অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে, তেমনি রাহুলও নিজে কংগ্রেসের সংগঠন গড়ে তুলতে পারেন না। তিনি অন্যের আন্দোলনের ওপরে ভর করেছেন।

কৃষকরা মোটেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে আন্দোলন করছেন না। কিন্তু রাহুলরা সেই আন্দোলনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছেন। সম্বিত পাত্র বলেন, মিথ্যা ছড়ানোই হল রাহুলের রাজনীতি। অভিযোগ, তিনি কৃষক আন্দোলনের একটি পুরানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সম্বিত পাত্রের কথায়, ‘কংগ্রেসের কোনও স্থায়ী সভাপতি নেই। তারা কোনও ইস্যু তুলতে পারে না। সেজন্যই সোনিয়া গান্ধীকে অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হয়।

আরো পড়ুন : পিপিই কিট পরে এটিএম ভেঙে ১ লাখ টাকা লুট, দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি

রাহুল পুরানো ছবি পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়াতে চেষ্টা করেন।’ পরে বিজেপির মুখপাত্র বলেন, ‘রাহুল দলের সংগঠন গড়তে পারেন না। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন না। রাজনীতিতে তিনি অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে চলতে চান।’ সম্বিত পাত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময়ই কৃষকদের স্বার্থে কাজ করেন। ভবিষ্যতেও করবেন। রবিবার জাঠ নেতা রাকেশ টিকায়েত বিশাল মহাপঞ্চায়েতে বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের ডাক দেন।

কিন্তু টিকায়েতের আহ্বানে বিজেপির নির্বাচনী ভাগ্যে কোনও এদিক-ওদিক হবে না,দাবি দলের নেতাদের। কেন্দ্রের তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার চেয়ে এক বছরের বেশি উত্তর ভারতের কৃষকরা রাস্তায় নেমেছেন। তবে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে পিলিভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীর। ট্যুইটে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে ফের আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে তিনি লিখেছেন, লাখ লাখ চাষি জমায়েতে সামিল হয়েছেন মুজফফরনগরে। ওরাই আমাদের রক্ত, মাংস।

মর্যাদা সহকারে ওদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা উচিত আমাদের। ওদের কষ্ট, বেদনা, দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা, সহমতে পৌঁছতে ওদের সঙ্গে কাজ করা দরকার। বরুণের মতামতে বিজেপি নেতারা সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও দাবি করছেন, জাঠরা একজোট হলেও বা টিকায়েতের বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ডাক সত্ত্বেও দলের ভোটে তার কোনও প্রভাবই পড়বে না।

নেতাদের কেউ কেউ অবশ্য ‘ব্যাপারটা উদ্বেগজনক, স্বীকার করেও জমি পুনরুদ্ধারের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে’ বলে জানাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের আখচাষিদের বকেয়া মেটানো, রাজ্য সরকার ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) যে কোনও শক্ত চ্যালেঞ্জ প্রতিহত করবে।

সূত্র: দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button