বাড়ি ছাড়া হলেন মুকুল রায়! বের করে দেওয়া হল গাড়ি, আসবাব সহ সমস্ত কিছু
দীর্ঘদিন রাজ্যসভার সাংসদ থেকেছেন মুকুল রায়। প্রথমে তৃণমূল, তারপর বিজেপির হয়ে সংসদ সদস্য থাকার দরুণ হয়েছিল দিল্লির ভোটার। এরই মাঝে তৃণমূলে থাকাকালীন রেলমন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছিলেন। তাই দিল্লির ১৮১ নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউর বাড়িটি মুকুল রায়ের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে উঠেছিল। তবে সম্প্রতি শিবির বদল করে সাড়ে তিন বছর পর ফিরেছেন তৃণমূলে। বর্তমানে তিনি বিধায়ক। এই আবহে একাধিক নোটিশ দেওয়ার পর শেষ পর্যন্ত খালি করা হল দিল্লিতে মুকুল রায়ের দীর্ঘদিনের বাসস্থান।
শুক্রবার রাত থেকেই ১৮১ নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউর বাংলোটি খালি করা শুরু করে দিল্লি পুলিশ। শনিবার সকালেই মুকুল রায়ের নেমপ্লেট সরে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা এই বাড়ির ফটক থেকে। আপাতত দিল্লিতে কোনও ঠিকানা রইল না মুকুলের। যানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, ড্রাইভারকে কার্যত বের করে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে। বের করা হয় গাড়ি এবং আসবাবপত্রও।
আরও পড়ুন : দেশে একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাকটিভ কেস
একসময় দিল্লি গেলে মুকুল রায়ের জন্য বরাদ্দ এই বাড়িতেই থাকতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এই বাড়িতে বিশাল জনসামগম হত। সেই বিধানসভার আগেই ভোটার আইডি কার্ডে মুকুল রায়ের ঠিকানা বদলে হয়েছিল কাঁচরাপাড়া। আর ভোটার কার্ড থেকে যেভাবে দিল্লির ঠিকানা সরেছে, সেভাবেই যেন দিল্লির এই বাংলো থেকে সরে গেল মুকুল রায়ের নেমপ্লেট।
কয়েক বছর বিজেপি-তে কাটানোর পর গত ১১ জুন ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন মুকুল রায়। তবে তখন তিনি বিজেপি-র বিধায়ক। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পর ২৪ জুন পিএসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর, মামলা সবই চলেছে। এরই মাঝে রাজ্যসভার হাউস কমিটির তরফে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয় মুকুল রায়কে।
একাধিকবার অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেন মুকুল রায়। তবে আজ নয়তো কাল এই বাড়ি তাঁকে খালি করতেই হত। এরই মধ্যে আর অতিরিক্ত সময় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। এর জেরে দিল্লি পুলিশ এবার সেই বাড়িটি ফাঁকা করে দিল।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস