মালদহে ফের জ্বরে মৃত্যু আরও ২ শিশুর! পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে বিশেষজ্ঞ দল
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলিতে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশু ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন জন শিশুর। ফলে রাজ্য জুড়ে শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, অন্যান্য বছরেও এই সময় শিশুদের জ্বর হয়। সেটাই হচ্ছে। তবে এটাও ঘটনা যে, মালদা মেডিকেল কলেজে আরও দুই শিশুর মৃত্যু্র ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে তিন দিনে পাঁচ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো সেখানে।
এই অবস্থাতেই এদিন মালদা মেডিকেল সহ উত্তরবঙ্গের নানা হাসপাতালে পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষজ্ঞ দল। জলপাইগুড়ি, মালদা-সহ উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের শারীরিক পরিস্থিতি এবং হাসপাতাল পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। শিশুদের চিকিত্সার জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) পরিকাঠামো, হাসপাতালের চিকিত্সক এবং পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে কিনা এবং বিশেষ কোনও এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে কি না তাও দেখবে বিশেষজ্ঞ দল। ওই দলে থাকছেন ৬জন বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন : বিশ্বকর্মা পুজোয় কেমন থাকবে আকাশ? জানাল হাওয়া অফিস
উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে শিশু মৃত্যুর খবর সামনে এলেও মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাঁরা জানিয়েছে, অজানা জ্বরে কোনও শিশু মারা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব এন এস নিগম জানিয়ে দেন, এই মরশুমে এমন জ্বর হয়। কিন্তু অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েই শিশুরা মারা গিয়েছে এমনটা নয়। তবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তার কারণ জানতে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের ভাইরাল ল্যাবে।
পাশাপাশি কলকাতার ট্রপিক্যালে নমুনা পাঠানো হয়েছে। যদিও আমজনতার অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় জ্বর, বমি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্ক ভুগছেন বাবা-মায়েরা। প্রাথমিকভাবে চিকিত্সকরা মনে করছেন ঋতু পরিবর্তনের কারণেই এই জ্বর হয়ে থাকতে পারে। যদিও জ্বরের কারণ খুঁজতে মাল্দা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে।
জ্বর নিয়ে আসা শিশুদের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডের কোনও ভাইরাসই পাওয়া যায়নি। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের মাতৃমা বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে। আলাদা করে কোভিড ওয়ার্ডও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও।
সূত্র: এই মুহুর্তে