‘পরকীয়া’ মামলায় স্বস্তি বিজেপি-র চন্দনার, হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ এফআইআরে
এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের তদন্ত করতে পারে না পুলিশ।
গত মাসে গঙ্গাজলঘাটি থানায় শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরই গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়ের হয় এফআইআর। বাঁকুড়ায় দায়ের হওয়া সেই এফআইআর খারিজের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন চন্দনা।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, বিবাহ-বহির্ভূত মামলায় আদৌও পুলিশ কি পদক্ষেপ করতে পারে? পরে বিচারপতি জানান, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের তদন্ত করতে পারে না পুলিশ। সেইসঙ্গে নির্দেশ দেন, আপাতত চন্দনার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। পরবর্তীকালে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় রায় দেবে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : রাজ্যসভায় ‘খেলা’ দেখাতে অর্পিতাকে বড় পদ তৃণমূলের, হলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক
গত মাসের মাঝামাঝি চন্দনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অভিযোগ তোলেন বিজেপি বিধায়কের গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা। তিনি দাবি করেন, বিবাহিতা সত্ত্বেও বিয়ে করেছেন চন্দনা এবং কৃষ্ণ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ (বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক), ৪৯৮এ (বধূ নির্যাতন) মতো ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
যদিও বিয়ের দাবি উড়িয়ে দেন চন্দনা। পালটা দাবি করেন, মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। স্বামী শ্রবণের সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি হয়েছিল। যা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর নামে ভুয়ো প্রচার করা হচ্ছে। স্বামীকে পাশে বসিয়ে ‘অপপ্রচারের’ জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। চন্দনার স্বামীও দাবি করেন, স্ত্রী কাউকে বিয়ে করেননি। মনসা পুজো থাকায় তিনি বেশি নেশা করে ফেলেছিলেন। তা নিয়ে স্ত্রী’র ঝামেলা হয়েছিল বলে জানান তিন সন্তানের বাবা শ্রবণ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস