‘বহুবার অপমানিত হয়েছি, সামনে আরও রাস্তা খোলা রয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অমরিন্দর সিং
এক বার নয়। দু’ বার নয়। তিন বার অপমানিত হয়েছেন। আর নয়। এসব সহ্য করে আর থাকবেন না। এদিন সকালেই সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছিলেন। ভোটের কায়েক মাস আগে এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অমরিন্দর সিং। জানালেন, ‘ওঁরা যাঁকে বিশ্বাস করেন’, তাঁকেই এই পদে বসাতে পারেন। এই নিয়ে তিনি আর মাথা ঘামাবেন না। তবে ‘সময় এলে নিজের জন্য বিকল্প কিছু ভেবে দেখবেন’।
অমরিন্দরের ইস্তফার পরেই বৈঠকে বসেছেন পাঞ্জাবের বিধায়করা। খবর, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে, সেই নিয়েই চলছে আলোচনা। আপাতত তিন জনের নাম উঠে এসেছে। সুনীল জাখার, প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং বিয়ান্ত সিংয়ের নাতি রভনীত সিং বিট্টু। চূড়ান্ত নামে সিলমোহর দেবে হাইকমান্ড।
গত কয়েক মাস ধরেই পাঞ্জাব কংগ্রেস এবং সরকারের ফাটল ক্রমেই প্রকাশ্যে এসেছে। ঝামেলার সূত্রপাত অমরিন্দর এবং নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে। সিধু প্রকাশ্যে অমরিন্দরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এর পর সেই সিধুকেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান করা হয়। যদিও জানানো হয়, ভোট বৈতরণীর হাল থাকবে অমরিন্দরের কাঁধেই। তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সেই থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন : যোগীরাজ্যে আক্রান্ত বাংলার পুলিশ, BJP নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার CID কর্তারা
পাঞ্জাবের একের পর এক নেতা, বিধায়ক আঙুল তোলেন অমরিন্দরের দিকে। দলের তরফে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরতেও বলা হয়।
এদিন সকালেই ক্যাপ্টেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সোনিয়া গান্ধীকে বলেছি, এই ধরনের অপমান অনেক হয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার আমায় অপমান করা হল। এই ধরনের অপমান সয়ে আমি দলে থাকতে পারব না।’ এর পরেই অমরিন্দরের ছেলে রনিন্দর সিং টুইটারে বাবার ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। বলেন, তিনিও বাবার সঙ্গে রাজ ভবনে গেছিলেন তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিতে।
তবে রাজনৈতক মহল বলছে, পাঞ্জাব কংগ্রেসের বিরোধ এতে মিটবে না। বরং বাড়বে। কারণ ক্যাপ্টেন সহ বিক্ষুব্ধরা চুপ করে বসে থাকার পাত্র নন। দিন কয়েক আগে নিজেদের অনুগামীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অমরিন্দর। সেখানে রাজ্যের চার মন্ত্রী সহ যোগ দেন ১৫ জন বিধায়ক।
পাঞ্জাব বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ১১৭। কংগ্রেসের বিধায়ক ৮০। আগামী বছরই রাজ্যে ভোট। যতই ক্যাপ্টেনকে সরাতে চেয়ে ৫০ জন বিধায়ক সোনিয়াকে চিঠি লিখুন, দুঁদে এই কংগ্রেস নেতার অনুগামীর সংখ্যাও কম নয়। তাতেই চাপে পড়তে পারে কংগ্রেস। আর বাড়তি সুবিধা পেতে পারে কেজরিওয়ালের আপ।
সূত্র: আজকাল