বাল্যবিবাহের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, নতুন আইন নিয়ে রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিজেপির
বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে তা নথিভুক্ত করতেই হবে। এই নিয়ে নতুন বিল পাস হয়ে গেল রাজস্থানের বিধানসভায়। ধ্বনিভোটে। সেই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, এভাবে ঘুরিয়ে বাল্যবিবাহকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে অশোক গেহলটের সরকার। রাজস্থান বিধানসভার জন্য কালো দিন। নতুন বিলে বলা হয়েছে, বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে বর এবং কনেকে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
বিবাহিত দম্পতিরা কোনও এলাকায় ৩০ দিনের বেশি বসবাস করলেই, সেই এলাকার স্থানীয় আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এমনকী নাবালক-নাবালিকা বা তাদের পরিবারকেও বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে হবে। এই কথা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী শান্তি কুমার ধারিওয়াল।
এই নিয়েই তেড়েফুঁড়ে ওঠে বিজেপি। কিন্তু ধারিওয়াল স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘বিলে বলা হয়নি বাল্যবিবাহ বৈধ। বলা হয়েছে, বিয়ের নথিভুক্তকরণ বাধ্যতামূলক। এর মানে কখনওই নয়, যে বাল্যবিবাহ বৈধ। জেলাশাসক চাইলে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবেন।’ তিনি এও বললেন, নতুন আইন সুপ্রিম কোর্টের আইনের পরিপন্থী নয়। বরং সুপ্রিম কোর্টই রায় দিয়েছে, বিয়ের নথিভুক্তকরণ বাধ্যতামূলক। যদিও বিলে বাল্যবিবাহ নথিভুক্ত করাও বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : যোগীরাজ্যে আক্রান্ত বাংলার পুলিশ, BJP নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার CID কর্তারা
রাজস্থানের বিরোধী দলনেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলছেন, ‘যারা এই বিলকে হাত তুলে সমর্থন করছেন তাঁরা বিলটি পড়ে দেখেননি। এর ৮ নম্বর ধারা স্পষ্টতই বর্তমানে কার্যকর বাল্য বিবাহ আইনের পরিপন্থী।’ বিজেপির আর এক বিধায়ক সন্যাম লোধা বলছেন, ‘এই বিল পাশ হলে তা হবে বিধানসভার জন্য একটি কালো দিন।
বিধানসভা কি আমাদের বাল্যবিবাহে সম্মতি দেওয়ার অনুমতি দেয়? হাত তুলে বিলের সমর্থনে দাঁড়ানোর অর্থ হল বাল্যবিবাহ সমর্থন করা।’
রাজয়ের মন্ত্রী ধারিওয়াল এসব যুক্তি মানেননি। তাঁর কথায়, বিয়ে নথিভুক্ত করা না হলে বিধবারা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।
সূত্র: আজকাল