Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
অপরাধমালদা

মালদহে মাথা থেঁতলে স্বামীকে খুন! সিঁড়ির নীচে দেহ লুকিয়ে রাখল স্ত্রী

মালদহে মাথা থেঁতলে স্বামীকে খুন! সিঁড়ির নীচে দেহ লুকিয়ে রাখল স্ত্রী - West Bengal News 24

যুবককে হাত পা ভেঙে, মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন করল স্ত্রী-‌পিসতুতো দাদা। বাড়ির সিঁড়ির নীচে দেহ লুকিয়ে রেখে পরে লোপাটের চেষ্টা। গ্রেপ্তার দুজনই। পরকীয়া ও সম্পত্তি নিয়েই বিবাদ বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ডেইলি মার্কেট এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ আটক করেছে তাঁদের ছেলেকেও। মৃতের নাম রাম মুসোহর (৩৭)। হরিশ্চন্দ্রপুরের ডেইলি মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। নিয়মিত মদ্যপান করায় স্ত্রী পঞ্চমী মুসোহরের সঙ্গে হামেশাই বিবাদ লাগত।

ছেলে বাপী মুসোহরের সঙ্গেও বিবাদ ছিল বাবার। মুলত রঙ মিস্ত্রির কাজ করত রাম ও তাঁর ছেলে। কিন্তু এরইমধ্যে তাঁর পিসতুতো দাদা মনোজ মুসোহর দিল্লি থেকে হঠাত্‍ হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে রঙের মিস্ত্রির কাজ শুরু করে। তাঁর ব্যবসাও বেশ জমে ওঠে। পরবর্তীতে রাম-‌পঞ্চমীদের সঙ্গেই এক বাড়িতে থাকতে শুরু করে মনোজ। এরপরেই পঞ্চমীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ আরও জোরদার হয়।

নিয়মিত অশান্তি লেগেই থাকত। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, মদ্যপান আরও বেড়ে গিয়েছিল রামের। কাজকর্ম কিছুই করত না। মূলত সংসার চালাতো মনোজ। তাঁকে সাহায্য করত বাপি।

আরও পড়ুন : কোটি টাকারও বেশি তছরুপ! CBI জালে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কর্মী

এরপর তাঁদের বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে পঞ্চমী ও মনোজ। আর সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাম। এই নিয়ে কদিন ধরেই অশান্তি আরও তীব্র হয়। গতরাতে তাঁদের বাড়ির সিঁড়ির নীচে লুকোনো হাত-‌পা ভাঙা মাথা থ্যাতলানো রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় রামের। সেই দেহ লোপাটের জন্যে একটি গাড়ির খোঁজ করছিল মনোজ। রামের ছেলে বাপীকেও একটি গাড়ি ভাড়া করে আনতে বলা হয়। কিন্তু সম্ভবত সে ঘরের বাইরে থাকায় সম্পূর্ণ বিষয়টি তাঁর কাছে স্পষ্ট ছিল না বলেই মনে করছে পুলিশ।

হয়ত তাঁর বাবা পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে তাঁকে এমন বলা হয়ে থাকতে পারে। সে গাড়ির খোঁজ করতে গেলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ প্রবল হয়। কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে গেলেই, সিঁড়ির নীচে লুকানো রামের দেহ দেখতে পান। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। গভীর রাতে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি শাবল, গাঁইতি, দাঁ ইত্যাদি অস্ত্র উদ্ধার হয় ঘর থেকে। মুখ চেপে ধরে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে মাথায় ভাড়ি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বকে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপেও রাখা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পুলিশ পঞ্চমী ও মনোজকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক করা হয়েছে ছেলে বাপীকেও। এলাকার কিছু ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

সূত্র: আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button