ভবানীপুর উপ-নির্বাচন মামলায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্য, ‘কেন পদত্যাগ করলেন শোভনদেব?’ প্রশ্ন হাইকোর্টের
ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhawanipur Bypoll) মামলার শুনানিতে শুক্রবার আদালতের ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হল কৃষিমন্ত্রী তথা ভবানীপুরের পদত্যাগী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে (Sovandeb Chattopadhyay)। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ সরাসরি প্রশ্ন করে, জনগণের ভোটে জিতে কী কারণে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন? আদালত এদিন এও বলেছে, ভোট করতে অর্থের প্রয়োজন হয়।
এই সব অর্থই জনগণের। তাতে একজন নির্বাচিত হওয়ার পর কেন পদত্যাগ করলেন? এ ভাবে পদত্যাগ করা যায়? একুশের ভোটে ভবানীপুরে লড়েছিলেন শোভনদেব। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন নন্দীগ্রামের প্রার্থী। নন্দীগ্রামে দিদি পরাজিত হয়েছেন। যদিও তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে মমতাকে কোনও না কোনও আসন থেকে লড়তেই হতো।
আরও পড়ুন : মৃতদেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা কালীঘাটে
দেখা যায় শোভনদেববাবু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর দিদি বলেছেন, শোভনদেব লড়বেন খড়দহ আসন থেকে। কারণ খড়দহের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের কাজল সিনহার মৃত্যু হয়েছিল ফল ঘোষণার আগে। সেই সময়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন, মমতাই তো খড়দহ কিংবা সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে লড়তে পারেন।
তাহলে তো ভবানীপুরের ভোটের খরচ বাঁচে। এদিন কার্যত একই কথা বলেছে আদালত। ভবানীপুরের ভোট না হলে সাংবিধানিক সংকট হবে বলে মুখ্যসচিবের বক্তব্য উদ্ধৃত করে নির্বাচন কমিশন যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এদিন তা নিয়েও আদালত তুলোধনা করেছে।
বাকি কেন্দ্রের উপনির্বাচন না করিয়ে ভবানীপুরের ভোট করানো নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে এদিন প্রথমার্ধে শুনানি শেষ হলেও রায় দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট। দ্বিতীয়ার্ধে আদালত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ নিয়ে আলাদা করে সওয়াল-জবাব শুনবে।
সূত্রঃ দ্য ওয়াল