Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
কলকাতা

নকল সোনা-রূপা দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

নকল সোনা-রূপা দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও - West Bengal News 24

আমরা প্রত্যেকেই কখনো না কখনো নানান ভাবে প্রতারণার স্বীকার হই। পত্রিকার পাতা খুললে অথবা টিভির স্ক্রিনে দেখা যায় অভিনব সব প্রতারণার কৌশল। সম্প্রতি এমনই একটি প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে পুরনো রূপার মুদ্রা ও নকল সোনা দিয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে হাতিবাগান এলাকায়। রূপার মৃদ্রা দেখিয়ে, নকল সোনার হার হাতে তুলে দিয়ে হাতিবাগান থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গল বার) এই ঘটনায় প্রতারিত সেই ব্যক্তি শ্যামপুকুর থানার দ্বারস্থ হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরে সুরাহা চেয়ে সরাসরি পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানোর পর বৃহস্পতিবারই লালবাজারের পুলিশ এই ব্যক্তির অভিযোগ শুনে।

অসীমকুমার দে নামের ওই ব্যক্তি প্রৌঢ় স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। শ্যামপুকুর স্ট্রিটে স্ত্রী চন্দনা ও ছেলে অর্চনকে নিয়ে থাকেন তিনি।

আরও পড়ুন : মালদায় মূক ও বধির যুবতীকে ধর্ষণ! খুনেরও চেষ্টা, অভিযুক্ত পলাতক

অসীমকুমার জানান, কয়েক দিন আগে ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় তার, ব্যক্তিটি জানায় সামনে তার মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা দরকার। তাদের কাছে কিছু সোনার হার ও রূপার মুদ্রা রয়েছে। সেগুলো তারা বিক্রি করতে চান। সেখানেই অসীমকে তারা কিছু রূপার মুদ্রা ও দুটি সোনার হার দেখান।

কেনার আগে হারটি আসল না নকল পরীক্ষা করতে তার সঙ্গে কাউকে যেতে বলেন অসীম। কিন্তু কেউ রাজি না হওয়ায় ওই হার থেকে কিছুটা অংশ ছিঁড়ে তার কাছে দিয়ে যায় পরিবারটি। পরে পাড়ার সোনার দোকানে পরীক্ষা করিয়ে সোনা আসল বলে নিশ্চিত হন অসীমবাবু। নিজের স্থায়ী আমানত ভেঙে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ওই হারগুলি কিনবেন বলেও ঠিক করেন তিনি।

১৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হাওড়া স্টেশনে গিয়ে হারটি নিয়ে আসেন অসীম। সেগুলি পাড়ার সোনার দোকানে দেখাতেই তাকে জানানো হয়, হার সোনার নয়। যাদের থেকে হার কিনেছিলেন, তাদের ফোন করা শুরু করেন অসীমবাবু। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল।

এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এই ব্যক্তি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে রাস্তায় অসীমের সঙ্গে প্রতারকের প্রথম দেখা হয়েছিল, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। হাওড়া স্টেশনের রেল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সূত্র: আনন্দ বাজার।

সূত্র: আনন্দ বাজার

আরও পড়ুন ::

Back to top button