ভবানীপুরে ধুন্ধুমারকাণ্ডে দিলীপের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৮
ভোটপ্রচারের শেষ লগ্নে ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চাপের মুখে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। ওই ঘটনায় আর কারা যুক্ত তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে এগোচ্ছে তদন্ত।
সোমবার সকালে ভবানীপুর কেন্দ্রের যদুবাবুর বাজার এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন কিছু তৃণমূলকর্মী। হাতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ব্যানার। কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি শুরু হয়।
তৃণমূলের মারে মাথা ফাটে এক বিজেপিকর্মী। কোনওক্রমে দিলীপবাবুকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় দিলীপ ঘোষের এক নিরাপত্তারক্ষীকে জনতার দিকে বন্দুক তাক করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন : বিজেপিতে ফের ধাক্কা! বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়
এই ঘটনার জেরে ভবানীপুরে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার দাবি তোলেন দিলীপবাবু। বিজেপির তরফে গোটা ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে ভোটগ্রহণের দাবি জানানো হয়। এরই মধ্যে এল গ্রেফতারির খবর।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। তাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, শারীরিক হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। যদিও সবকটি ধারাই জামিনযোগ্য। এর পর তল্লাশিতে নেমে ৮ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
বিরোধীদের দাবি, যে ভাবে দিলীপ ঘোষের ওপর আক্রমণ হয়েছে তাতে পুলিশ পদক্ষেপ না করলে কড়া পদক্ষেপ করতে পারত নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারত তারা। তাই আগেভাগে ৮ জনকে গ্রেফতার করে সেই ঝুঁকি এড়ানোর পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস