ব্যর্থ অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সেনার জালে লস্কর জঙ্গি, এনকাউন্টারে খতম আরও ১
আবারও জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করল সেনা। জম্মু কাশ্মীরের উরি সীমান্তে সেনার জালে এক পাক জঙ্গি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারির সময়েই জঙ্গিদের গতিবিধির আঁচ মেলে। পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেনার উপস্থিতি টের পেতেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানরাও। সেনার গুলিতে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। জীবিত ধরা হয়েছে এক লস্কর জঙ্গিকে। এনকাউন্টারে তিন জওয়ান জখমও হয়েছেন।
জম্মু কাশ্মীরের উরি সেক্টরে রুটিন টহল দিচ্ছিল সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ঠিক সেই সময়েই কয়েকজন জঙ্গি ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করছিল। ঘটনার আঁচ পেয়ে তড়িঘড়ি তত্পরতা নেয় সেনাবাহিনী। কাছে যেতেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। তখনই এক লস্কর জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় ধরে ফেলে সেনা। ধৃত ওই জঙ্গির নাম আলি বাবর পারা। ১৯ বছরের ওই যুবক পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ওখারা জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন : কর্মস্থলে যৌন নিগ্রহ! নয়া নির্দেশ জারি বম্বে হাইকোর্টের, দেখে নিন
মঙ্গলবার বারামুলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে মেজর জেনারেল বীরেন্দ্র ভট জানিয়েছেন, মোট ৬ জঙ্গি পাকিস্তান থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে সেনা। দুই জঙ্গি নিয়ন্ত্রণরেখা পেরোতেই সেনার মুখোমুখি হয়। এনকাউন্টারে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে ও জীবিত অবস্থায় এক লস্কর জঙ্গি ধরা পড়েছে। এনকাউন্টার চলাকালীন সুযোগ বুঝে বাকি চার জঙ্গি ফের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে গিয়েছে।
ওই সেনাকর্তা আরও জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে এনকাউন্টারে নিহত হয় এক জঙ্গি। তার সঙ্গে থাকা আরও এক জঙ্গি প্রাণ-ভিক্ষা চায়। সেনার নীতি অনুযায়ী ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। সব ধরনের সাবধানতা নিয়েই ওই জঙ্গিকে হেফাজতে নেয় সেনা। ধৃত জঙ্গি পাক পাঞ্জাবের বাসিন্দা ১৯ বছরের এক যুবক। নিজেকে লস্কর-এ তইবার সদস্য বলে স্বীকার করে নিয়েছ ওই যুবক। মুজফফরাবাদে তার প্রশিক্ষণ হয়েছিল বলেও সেনাকে জানিয়েছে ধৃত জঙ্গি।
২০১৯ সালে মুজফফরাবাদের ঘাদিওয়ালার খাইবার ক্যাম্পে তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত জঙ্গি। ধৃত লস্কর জঙ্গিকে জেরায় এমনই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সেনার। তবে দফায়-দফায় তাকে জেরা চলছে। উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির ভূমিকা বিশদে জানার চেষ্টায় সেনাবাহিনী।
সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস