বাড়িকে গ্রাস করছে লেলিহান শিখা, সাত ঘণ্টা পরও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে কলুটোলা স্ট্রিটে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন
সাত সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident) শহরে। কলকাতার কলুটোলা স্ট্রিটের (Kolutola Street) একটি বহুতলে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন (Fire Engine)। আগুন নেভাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আগুন লাগায় ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ।
ভিতরে থাকা দাহ্য পদার্থের থেকেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি দমকলের। বহুতলের ভিতরে একাধিক গোডাউন, দোকান ও কারখানা রয়েছেন। বহুতলের পিছন দিকে একাধিক পরিবারের বাস। ভিতরে কেউ আটকে রয়েছে কি না, এখনও জানা যায়নি।
সোমবার ভোরে চারতলা ওই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। প্রায় ৭ ঘণ্টা পরও দাউদাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। কালো ধোঁয়া থেকেই স্পষ্ট, ভিতরে আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুন লাগার পরই তাঁদের বের করে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন : ‘কখনও তো জিতিনি ওখানে, লড়াই দিয়েছি আমরা’, ভবানীপুরে হারের ‘কারণ’ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ
জানা গিয়েছে, আজ ভোর ৫ নাগাদ আগুন লাগে কলুটোলা স্ট্রিটের ১১ নম্বর বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বহুতলের ভিতরে একাধিক দোকান রয়েছে। দমকলের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দমকলের জলের যা গতি, তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। স্থানীয়দের দাবি, দমকলকর্মীরা ভিতরে প্রবেশ করতে চাইছেন না। যদিও দমকলের দাবি, তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। উল্লেখ্য, দমকলকর্মীদের যথাযথ পোশাক না থাকার সমস্যা অনেকদিনের।
জলের সমস্যার কথা বলছেন দমকলকর্মীরাও। এক দমকলকর্মী জানান, বহুতলের একতলা ও দোতলায় মূলত আগুন লেগেছে। ভিতরে প্লাস্টিক, কাঠ সহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই কর্মী আরও বলেন, ‘আশেপাশে জলের ব্যবস্থা নেই। তাই ইঞ্জিন আরও বাড়াতে হচ্ছে। আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’
আরও পড়ুন : ত্রিপল-চুরি মামলার তদন্তে আপাতত স্থগিতাদেশ, পুজোর মুখে বড় স্বস্তি শুভেন্দুর
সরু রাস্তা, তাই আগুন নেভাতে সময় লাগছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বহুতলের ভিতরে প্রবেশ করা যায়নি, ফলে আগুনের উৎস ঠিক কোথায়, তা বোঝা যাচ্ছে না। বাইরে থেকে জল ভিতরে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না। তাই ভিতর থেকে কী ভাবে জল দেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখছে দমকল। বহুতলের উল্টোদিকে রয়েছে একটি মসজিদ। সেখান থেকেই জল দেওয়া হচ্ছে আপাতত। বহুতলের পিছনদিকটাও সম্পূর্ণভাবে আগুনের গ্রাসে। ওই দিকেই একাধিক পরিবারের বাস। তাই প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কলকাতায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সব সুরক্ষা বিধি আদৌ মানা হচ্ছে কি না, রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের বহুতলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। মাস কয়েক আগেই ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে শহরের ঐতিহ্যবাহী জয়া সিনেমা। এবার ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শহরে।
সূত্র: টিভি ৯