তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসছেন সব্যসাচী দত্ত? বিধানসভা ভোটের পর থেকেই জল্পনা চলছে। তবে সেই জল্পনা আরও তীব্র হল এবার। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে বিজেপির নিন্দায় সরব সব্যসাচী। তিনি বলেছেন, ‘যে বা যারাই এটা করে থাকুক তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি এবং তাদের একটাই শাস্তি হওয়া উচিত ফাঁসি।’ এমনকি দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে সব্যসাচী বলেছেন, ‘কৃষকদের এইভাবে পিষে মারা হয়েছে। সেটা ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত হোক।
তারপরে এই ধরণের মন্তব্য যদি কেউ করে তাহলে সেটা তার চিন্তা ভাবনা, তার অভিপ্রায়। আমি তার সম্বন্ধে কী বলব।’ দিলীপ বলেছিলেন, সর্বনাশ করতে উত্তরপ্রদেশ গিয়েছে তৃণমূল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য সব্যসাচীর। তবে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘লখিমপুরের ঘটনা কেউ কখনও সমর্থন করেনি। তবে সব্যসাচী বাবুকে এত সুর চড়িয়ে বিরোধিতা করতে কে বলেছে? দিলীপবাবু ন্যায্য কথা বলেছেন। যারা ওখানকার কিছু বোঝেন না তারা ওখানে জলঘোলা করতে গিয়েছেন।’
আরও পড়ুন : নজরুল মঞ্চে প্রকাশিত মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর অ্যালবাম, এই প্রথম অ্যালবামের জন্য গান গাইলেন মমতা
এই ঘটনার পরেই তাই জল্পনা বেড়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দায়িত্বও পেয়েছিলেন। তবে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়। ২০২০ সালের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা। কিন্তু ফেরা হয়নি। বিধানসভা ভোটের পর জল্পনা আরও বাড়ে।
সূত্রের খবর, তৃণমূলে ফেরা না হলেও দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে সব্যসাচী দত্তের। বর্তমানে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তিনি। খড়দহ উপনির্বাচনের ইনচার্জ তিনি। তবে সূত্রের খবর, দলের কাজে একেবারেই সক্রিয় নন সব্যসাচী। শোনা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনে একাধিকবার তিনি কথা বলেছেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। তবে এখনও যোগদান নিয়ে তৃণমূলের তরফে সবুজ সংকেত মেলেনি।
তবে অনেকেই বলছেন, সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মুকুল রায় বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই আশঙ্কা ছিল যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূলে ফিরতে পারেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার কারিগরও মুকুল রায়ই। তৃণমূলে থাকাকালীনও সব্যসাচী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মুকুলের সঙ্গে।
সূত্র: আজকাল