পর্যটন

বিমান ভ্রমণে যে খাবারগুলো খাবেন

বিমান ভ্রমণে যে খাবারগুলো খাবেন

প্রায়ই আকাশপথে ভ্রমণ করা পড়ে? বিমানের খাবার খুব একটা ভালো লাগে না, বলা যায় একরকম বিস্বাদই লাগে খেতে? ব্যাপারটা আপনার একার নয়, প্রায় সবার সাথেই ঘটে থাকে। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে, বিমানের শব্দ মানুষের জিহ্বার স্বাদকে প্রভাবিত করে থাকে। এছাড়াও যেহেতু যাত্রার আগেই খাবার রান্না করা হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে সেটা গরম করে যাত্রীদেরকে দেওয়া হয়- বিমানের খাবারগুলো খুব একটা স্বাস্থ্যকরও হয় না অনেক ক্ষেত্রে। অন্যদিকে শুকনো খাবার খেলে সেটাও আরো বেশি বিস্বাদ লাগতে পারে আপনার। তবে এতসব ঝামেলাকে পাশ কাটিয়েও সামনের বিমান ভ্রমণে খানিকটা উন্নতমানের খাবার খেতে পারেন আপনি। কীভাবে? বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আর বিমানে কোন খাবারগুলো বাছাই করাটা বেশি ভালো সেটা আমি নই, বলেছেন বিজ্ঞানীরাই।

১. ভাত
ভাবুন তো, শেষ কখন আপনি নুডলস কয়েকবার জ্বাল দিয়েছিলেন? প্রথমবারের চাইতে একটু শুকনো হয়ে গিয়েছিল না সেটা? আর তাই বিমানে ভাত ও নুডুলসের ভেতরে যেকোন একটি বাছতে বললে বেছে নিন ভাতকে। কারণ, ভাতে নুডুলসের চাইতে ময়েশ্চার একটু বেশি থাকে। ফলে স্বাদটাও ঠিক থাকে। এছাড়া ভাবে আপনাকে দেবে শক্তি, রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিকঠাক রাখবে এবং প্রচুর পরিমাণ বি১ এর যোগান দেবে। এটি অল্প সময়ে আপনার পেট ভরিয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট।

২. তরকারী
তরকারী, বিশেষ করে সেটা যদি হয় মাংস বা সব্জির, তাহলে অবশ্যই সেটা বাছুন। কারণ, বিমানে উঠলে উচ্চচাপ ও নানরকম কারণে আমাদের জিহ্বা শুকিয়ে যায়। সাধারণ স্বাদকেও তখন অনেক বেশি পানসে বলে মনে হয় আমাদের। স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। সেক্ষেত্রে নানারকম ভিটামিন তো বটেই, তরকারী আপনাকে দেবে খাওয়ার রুচিও। এছাড়াও দুইবার জ্বাল দেওয়ার ফলে তরকারীর স্বাদ একটুও না কমে বরং বেড়ে যায়। ফলে সেটিও আপনার খাওয়ার আগ্রহকে বাড়িয়ে দেবে।

৩. মুরগী
সাধারণত, কয়েকবার জ্বাল দেওয়ার পর গরু কিংবা অন্যকোন মাংস, এমনকি সী ফুডের চাইতেও মুরগী সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে। এছাড়াও মুরগীতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজ উপাদান। যেগুলো আপনার পেটকে ভরিয়ে দেবে, স্বাস্থ্যেও ঠিক রাখবে। তাই পরেরবার বিমান ভ্রমণে মুরগীর ডিশকেই প্রাধান্য দিন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button