আজকের উপনির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মালদহ থেকে ফিরে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে এমন মন্তব্যই করলেন তিনি। তবে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এও বলেছেন, “আমরা চাইব নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ন নির্বাচন হোক।
লোক অংশগ্রহণ করুক তবেই গণতন্ত্র সফল হবে।” পাশাপাশি তিনি সংযোজন করেন, “নির্বাচনের আগে যেভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছিল, ভয় দেখানো হচ্ছিল, হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তাতে চিন্তা হচ্ছে কতটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।”
অন্যদিকে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা হয়েছে যার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কখনও ভেবেছে পশ্চিমবাংলায় বিরোধীদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে সেটা বন্ধ করা উচিত? সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারে। অবশ্যই যান। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সবারই গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় আগে হিংসা বন্ধ হোক তারপর কোর্টে যাওয়ার দায়িত্ব বা প্রতিবাদ করার অধিকারটা আসে।”
আরও পড়ুন : বাবাকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ ছেলের, ছেলের কীর্তিতে হতবাক পুলিশ
তবে, রাজ্য সরকারের ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাঁর কথায়, “আমরা অনেকদিন আগে থেকেই বলছিলাম। বিশেষ করে পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ছিল বলে অনেকে চিত্কার চেঁচামেচি করছিল। আগে যদি ট্রেন চালু হত তাহলে মানুষের ওপর চাপ পড়ত না। লোকাল ট্রেন চালু হোক। স্কুল কলেজ খোলার কথা হচ্ছে, অফিস চলছে যদি লোকাল ট্রেন চালু না হয় পশ্চিমবাংলা আর কলকাতার আশপাশের মানুষ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে না।”
পুজোর পর থেকে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই মুহূর্তে লোকাল ট্রেন চালালে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে না তো? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কবে কোভিড ঠিকঠাক হবে সেজন্য তো সরকার বসে থাকতে পারে না। পশ্চিমবাংলার লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন, কেউ জীবিকা নির্বাহ করেন। আমার মনে হয় আপাতত চলুক তারপর আবার পরিবর্তন হলে হবে। এক্সপেরিমেন্ট হওয়া উচিত।”
সুত্র : প্রথম কলকাতা